হোসেনি দালান বা ইমামবাড়া থেকে বের হওয়া তাজিয়া মিছিলে বিশেষ নিরাপত্তা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।কমিশনার বলেন, শুধু হোসেনি দালান নয়, ঢাকার যেকোনো স্থান থেকে বের হওয়া তাজিয়া মিছিলে নিরাপত্তা দেবে পুলিশ। আইনশৃংখলা বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনী ঘিরে রাখবে প্রতিটি মিছিল।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর লালবাগ এলাকায় হোসেনি দালান ইমামবাড়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।তিনি বলেন, যে পথে মিছিলগুলো নিয়ে যাওয়া হবে- সে পথে সিসি ক্যামেরা ও পোশাকে এবং সাদা পোশাকের আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।ডিএমপি’র পক্ষ থেকেও নিরাপত্তার স্বার্থে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হবে। তবে মিছিলে লাঠি ও আগুন খেলা, ছুরি-কাঁচি, জিঞ্জির, তোলোয়ারসহ যেকোনো ধাতব বস্তু সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ বলেও জানিয়েছেন তিনি।আগামী ১ অক্টোবর (রোববার) পবিত্র আশুরা। এ উপলক্ষে দুপুর ২টার দিকে শিয়া সম্প্রদায়ের মিছিল বের হয়ে অস্থায়ী কারবালা ধানম-ি লেকে গিয়ে শেষ হবে।

কমিশনার বলেন, রাজধানী প্রতিটি ইমামবাড়া, বিবিকা রওজা, রড় কাটরায় থাকবে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ১০ মহররমের আগেই এসব স্থান ডিএমপি সোয়াট টিমের সদস্য দ্বারা সুইপিং করা হবে। এসব স্থানে সবাইকে আর্চওয়ের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করতে হবে। আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য ও ইমামবাড়া কর্তৃপক্ষের নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী কর্মীরা প্রবেশের সময় প্রয়োজনীয় তল্লাশি করবে। এর জন্য সবাইকে সহযোগিতা করার অনুরোধ জানান তিনি।তিনি আরও বলেন, তাজিয়া মিছিলটি যে রাস্তায় পরিচালিত হবে- সেই রাস্তা যাতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে সেজন্য সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনাও করা হয়েছে। এ দেশে প্রতিটি ধর্মের মানুষেরই তাদের নিজ ধর্মীয় উৎসব পালন করার অধিকার রয়েছে। আর এর জন্য নিরাপত্তা দেবে রাষ্ট্র। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।ডিএমপি কমিশনার বলেন, ১০ মহররম একই দিনে হিন্দু সম্প্রদায়ের বিসর্জন ও শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিল। এর জন্য দুই সম্প্রদায়ের লোকদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, যাতে সবার উৎসবই শান্তিপূর্ণভাবে ও শৃংখলার মধ্য দিয়ে পালন করা হয়।