গাজীপুরে ধর্ষণের পর অন্তঃসত্বা তৃতীয় শ্রেণীর শিশু ছাত্রীর দায়ীত্ব নিলেন শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন। শ্রীপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেহেনা আকতার সোমবার দুপুরে ওই শিশু ছাত্রীকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করান।পরে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে এখন থেকে ওই ছাত্রীর লেখাপড়া,চিকিৎসা, নিরাপত্তা সহ সন্তান প্রসব ও পরবর্তী পূর্ণবাসনের দায়ীত্ব পালন করবে শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন।

পুলিশ ও এলাকাবাসি জানায়, শ্রীপুরের সাইটালিয়া দাখিল মাদ্রাসার তৃতীয় শ্রেণীর ওই ছাত্রীকে মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে একই গ্রামের নূরুমিয়ার ছেলে আমানুল্লা (২৩) গত ৭ জুন মোল্লাখালির টেক নামক স্থানে জঙ্গলের মধ্যে জোড় পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে আমানুল্লা কাউকে না জানাতে ওই ছাত্রীকে মেরে ফেলার হুমকী দেয়। এর পরথেকে আমানুল্লা সময় সুযোগ মত প্রায়ই ওই ছাত্রীকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করতো। এতে ওই ছাত্রী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পরে। পরে এই ঘটনা জানাজানি হলো এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়। ওই ঘটনায় বিভিন্ন গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি গাজীপুর জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের নজরে আসে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে শ্রীপুর উপজেলানির্বাহী অফিসার রেহেনা আকতার সোমবার ওই ছাত্রীর বাড়ীতে গিয়ে তাকে শ্রীপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,মানবিক দিক বিবেচনায় আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেয়েটির লেখাপড়া,চিকিৎসা ও পূণর্বাসন সহ সবধরনের দায়িত্ব নিয়েছি।

উপজেলা স্বস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মইনুল হক খান জানান মেয়েটি এখন অপুষ্টিতে ভ’গছে তার যথাযত চিকিৎসা দরকার। উপজেলা হাসপাতালের পক্ষথেকে তার চিকিৎসার ব্যবস্থ করা হবে।শ্রীপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান এখন থেকে ওই ছাত্রীর লেখাপড়া,চিকিৎসা, নিরাপত্তা সহ সন্তান প্রসবের পর পূর্ণবাসনের দায়ীত্ব পালন করবে শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন।

উলেখ্য গত ১৪ সেপ্টেম্বর ওই মেয়ে ধর্ষণের ঘটনাটি তার মায়ের কাছে প্রকাশ করে।পরে গত ২২ সেপ্টেম্বর ছাত্রীর মা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্ত শ্রীপুর থানার এস.আই, এখলাস উদ্দিন জানান,ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।বিজ্ঞ আতালত ভিকাটমের জবান বন্দি গ্রহন করেছে। মামলার পর থেকে আসামী আমানুল্লাহ পলাতক রয়েছে। আসামী গ্রেফতারের অভিযান চলছে।