অবৈধপথে আসা মোবাইল ফোন যাতে কার্যকর না থাকে, তার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। মঙ্গলবার সচিবালয়ে টেলিকম খাতের রিপোর্টারদের সংগঠন ‘টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) নতুন কমিটি ও সদস্যদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) এবং মোবাইল ফোন আমদানিকারকদের সংগঠন বিএমপিআইএ অবৈধপথে আসা মোবাইল ফোন ঠেকাতে ডাটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নেয়। এই কাজের পর এখন তথ্য ভা-ার ব্যবহার শুরু করতে চায় সরকার।এই প্রক্রিয়ায় বিটিআরসির কাছে থাকা বৈধপথে আসা মোবাইল ফোনের আইএমইআই (ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুপমেন্ট আইডেন্টিটি) নম্বর ছাড়া কোনো মোবাইল ফোন চালু হবে না। তবে বাজারে অবৈধপথে অনেক মোবাইল ফোনই রয়েছে দাবি করে আমদানিকারকরা বলছেন, এতে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ছেন তারা। এছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কা থেকে যায়। এই অবৈধপথে আসা মোবাইল ফোন বন্ধ এবং নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে তারানা হালিম বলেন, আইএমইআই ডেটাবেইজ তৈরি করা হচ্ছে। এর পর যে হ্যান্ডসেটগুলো সঠিক পথে না আসে বা অবৈধভাবে আসে তা অকার্যয়কর হয়ে যাবে, এ রকম বিভিন্ন প্রক্রিয়া শুরু করছি। এ বিষয়ে আমরা বিভিন্ন প্রস্তাবনাগুলো দেখছি। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙ্গুলের ছাপ নিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের ডাটাবেজের সঙ্গে মিলে নিয়ে বর্তমানে বাজারে সিম বিক্রি করা হচ্ছে। এতে যে কাউকে প্রয়োজন পড়লে শনাক্ত করা সম্ভব।

টেলিযোগাযোগ বিভাগের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা- ও ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোবাইল ফোনের আইএমইআই ডেটাবেইজ তৈরি করা হচ্ছে । এরপর যে হ্যান্ডসেটগুলো প্রপার পথে আসবে না বা অবৈধভাবে আসবে তা অকার্যকর হয়ে যাবে, এ রকম বিভিন্ন প্রক্রিয়া শুরু করছি। এ বিষয়ে আমরা বিভিন্ন প্রপোজাল দেখছি।তবে কবে নাগাদ ওই প্রক্রিয়া শুরু হবে তার সুনির্দিষ্ট সময় তারানা হালিম জানাননি।পিছিয়ে পড়ে বিটিসিএল ল্যান্ডফোনকে আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় অঅনার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ল্যান্ডফোনে যদি কল আসে তা কনভার্ট করে মোবাইল ফোনে চলে আসে, ল্যান্ডফোনে ইন্সট্রাটকশন দেওয়া থাকবে দুই থেকে তিনবার ফোন আসলে রিসিভ না হলে মোবাইল ফোনে কল চলে যাবে। এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আগামী ডিসেম্বর থেকে দেশের টেলিযোগাযোগে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোর জি) সেবা, আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যে নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদলের সুযোগ বা এমএনপি সেবা শুরু করা যাবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। ফোরজি ও তরঙ্গ নিলামে নীতিমালা নিয়ে অপারেটরদের বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তারানা বলেন, “সিএসআর ফান্ড, কনটেন্ট ফিল্টারিং, লোকেশন পিন পয়েন্ট ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে, অবশ্যই তারা ফোরজি ও তরঙ্গ নিলামে অংশগ্রহণ করবে। টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে একনেক অনুমোদিত ৬১০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের অর্থ এখনো ছাড় না হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।গত দুই বছর ধরে এই অর্থছাড় হচ্ছে না, টেলিটক নিয়ে চিন্তিত, এই অর্থ দিয়ে টেলিটককে দাঁড় করানোর সুযোগটা দেওয়া উচিত।অনুষ্ঠানে টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদি ও সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ বক্তব্য রাখেন।