ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছেন, তিন মাসের মধ্যেই চালু হচ্ছে ফোর জি। প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিলম্বিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। অপারেটররা ইতোমধ্যে ফোর জি চালু করার সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে। বুধবার (০৪ অক্টোবর) সকালে সচিবালয়ে ফোর জি সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, যত ভুলবুঝাবুঝি হোক ফোর জি চালুর বিষয়ে বিলম্বিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এ বছরের অবশিষ্ট ৩ মাসের মধ্যেই ফোর জি চালু হবে। অপারেটররা সেটা করবে। ইতিমধ্যে অপারেটররা ফোর জি চালু করার সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ করেছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ফোর জি গাইড লাইনের কয়েকটি জায়গায় এখন কিছু ব্যাখ্যা সংযোজন করা হবে। তারানা হালিম বলেন, ফোর জি নীতিমালায় গ্রাহকের ব্রাউজিং কার্যক্রমসহ বিভিন্ন তথ্য এক যুগ সংরক্ষণ রাখার ধারাসহ ২৩টির মতো বিষয়ে আপত্তির কথা জানায় অপারেটরগুলো। যে ২৩টি আপত্তির কথা বলেছে তার অধিকাংশই তারা ভুলভাবে ব্যাখ্যা করছে। এর বেশির ভাগই ভুল ব্যাখ্যার কারণে সেগুলো বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল। স্পেকট্রামের দামের তারানা হালিম বিষয়ে বলেন, নির্ধারণ করা দামের বিষয়ে অপারেটরদের কোনো আপত্তি আসেনি। এ দাম সহনীয় বলে আমরা মনে করি।

এদিকে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের টেলিযোগাযোগ সেবা দিতে স্থাপিত টেলিটকের মোবাইল বুথ ও কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। বুধবার (০৪ অক্টোবর) কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্প-১ ও ক্যাম্প-২ এ বুথ পরিদর্শন শেষে শরণার্থীদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি। শুধুমাত্র লোকাল কলের এ সেবা দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম অপারেটরটি। পাবলিক কল অফিসের (পিসিও) মাধ্যমে এক ক্যাম্পের বুথ থেকে অন্য ক্যাম্পের বুথে ফোন করছেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা। বুথে থাকা হ্যান্ডমাইকে সংশ্লিষ্ট শরণার্থীকে ডেকে দেওয়ার পর কথা বলছেন। বেলা দেড়টার দিকে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের পরিদর্শনকালেও টেলিটক বুথে রাখা মোবাইল ফোন থেকে রোহিঙ্গাদের কথা বলতে দেখা গেছে।১ নম্বর ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের শরণার্থী আবু আলম বালুখালী ক্যাম্পে থাকা তার আত্মীয় আকবর আলীর সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলতে পেরে ওপাশ থেকে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন আকবরও।আবু আলম দোভাষির মাধ্যমে বলেন, স্বজনদের সঙ্গে কথা বলতে পেরে খুশি তারা। বিপদে-আপদেও যোগাযোগ করা যাচ্ছে।প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে টেলিযোগাযোগ সেবা দিতে গত ২৪ সেপ্টেম্বর বুথ স্থাপন শুরু করেছে টেলিটক। এ পর্যন্ত ১০টি বুথ স্থাপিত হয়েছে বলে পরিদর্শনকালে বাংলানিউজকে জানান টেলিটকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কাজী মো. গোলাম কুদ্দুস। ১ নম্বর ক্যাম্পের বুথ থেকে টেলিটকের সেবা প্রদানকারী (ভিপি) ফোরকান আলী বাংলানিউজকে বলেন, শুরুর দিকে দিনে ৩/৪টি কল হতো। এখন ১৫-২০টি পর্যন্ত হচ্ছে। ২ নম্বর ক্যাম্পের বুথের ভিপি সারওয়ার আলম শাকিলও জানান, শুরুতে কম হলেও এখন দিনে ২০/২৫টির মতো কল যাচ্ছে।নম্বর ক্যাম্প থেকে টেংখালী ক্যাম্পে হেসে হেসে নিজের ভাষাতেই কথা বলছিলেন শরণার্থী আতিকুর রহমান।২ নম্বর ক্যাম্পে চল্লিশোর্ধ্ব রোহিঙ্গা জাফর আহমেদ কুতুপালংয়ের ৩ নম্বর ক্যাম্পে থাকা বোন ফাতেমার সঙ্গে কথা বলতে অপেক্ষা করছিলেন। টেলিটকের একজন কর্মী জানান, এ ক্যাম্পের এক রোহিঙ্গা অন্য ক্যাম্পে তার স্বজনের সন্তান প্রসবের খবর দিচ্ছিলেন। জরুরি চিকিৎসাসেবা ও দৈনন্দিন প্রয়োজনেও কথা বলছেন তারা। তারানা হালিম বলেন, অত্যন্ত স্বল্প ব্যয়ে রোহিঙ্গাদের টেলিযোগাযোগ সেবা দেওয়া হচ্ছে।