‘ক্রায়ো ইলেকট্রন’ অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে অণুর আরও স্পষ্ট ছবি তৈরি করার পদ্ধতি উদ্ভাবন করে রসায়নে এবারের নোবেল পেয়েছেন জ্যাক ডুবোচেট, জোয়াকিম ফ্রাঙ্ক এবং রিচার্ড হেনডারসন। এখন অণুর আরও স্পষ্ট এবং হাই-রেজ্যুলেশন ছবি পাওয়া যাবে যা মেডিকেল ও রসায়ন গবেষণায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। বুধবার সুইডেনের স্টকহোমে দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস থেকে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়। পুরস্কৃত তিনজন পুরস্কারের নব্বই লাখ সুইডিশ ক্রোনার ভাগ করে নেবেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

এর আগে সোমবার চিকিৎসায় নোবেল ঘোষণার মধ্যে দিয়ে নোবেল পুরস্কার ঘোষণার শুরু হয়। মঙ্গলবার ঘোষণা করা হয় পদার্থবিজ্ঞানের এবারের বিজায়ীদের নাম। আগামী শুক্রবার শান্তি এবং আগামী ৯ অক্টোবর অর্থনীতিতে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। তবে সাহিত্য বিষয়ের পুরস্কার ঘোষণার তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি।

জ্যাক ডুবোচেট সুইজারল্যান্ডের নাগরিক, জোয়াকিম ফ্রাঙ্ক যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং রিচার্ড হেনডারসন যুক্তরাজ্যের নাগরিক।প্রাণ রসায়নের গবেষণায় আণবিক পর্যায়ে এতদিন প্রযুক্তি দিয়ে ওই পর্যায়ের ছবি পাওয়া সম্ভব ছিল না। সাইরো-ইলেকট্রন মাইক্রোসকপি তা সম্ভব করেছে। গবেষকরা এখন কোষের আণবিক পর্যায়ের যেকোন অবস্থার ছবি ধারণ করে ধারণ করতে পারবেন, যা জীবনের মৌলিক রসায়ন বোঝার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

১৯০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত রসায়নে মোট ১৭৫ জন বিজ্ঞানীকে ১০৮টি নোবেল পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে চারজন নারী, যাদের মধ্যে মা ও মেয়েও রয়েছেন।

১৯১১ সালে মেরি কুরি এককভাবে নোবেল পান। এর আগে ১৯০৩ সালে তিনি রসায়নে যৌথভাবে নোবেল পেয়েছিলেন। তার কন্যা আইরিন জোলিওট-কুরি তার স্বামী ফ্রেডেরিকের সঙ্গে ১৯৩৫ সালে এই পুরস্কার লাভ করেন।