প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাএক মাসের ছুটিতে থাকা প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা আজ রোববার মহাখালীর আইসিডিডিআরবিতে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়েছেন। সকাল আটটার দিকে তিনি সেখানে যান।সূত্র জানায়, আইসিডিডিআরবির ডায়াগনস্টিক ইউনিটে তিনি কয়েকটি পরীক্ষা করিয়ে চলে যান।প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ২ অক্টোবর থেকে ছুটিতে আছেন। আগামী ১ নভেম্বর তাঁর ছুটি শেষ হবে। ইতিমধ্যে প্রধান বিচারপতি ও তাঁর স্ত্রী অস্ট্রেলিয়ার তিন বছরের ভিসা পেয়েছেন। শিগগিরই তিনি অস্ট্রেলিয়া যেতে পারেন বলে সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানিয়েছে।অস্ট্রেলিয়ায় প্রধান বিচারপতির বড় মেয়ে থাকেন।

আইসিডিডিআর,বির ডায়াগনস্টিক ইউনিটের ইনফরমেশন ডেস্কের দায়িত্বে থাকা নূরুন্নাহার রোববার বলেন,উনি সকালে ডায়াগনোসিসের কাজে এসেছিলেন।কয়েকটি পরীক্ষা করিয়ে চলে গেছেন।বিচারপতি সিনহা কী কী পরীক্ষা করিয়েছেন, তা বলতে রাজি হননি আইসিডিডিআর,বির ডায়াগনোসিস ইউনিটের দায়িত্বরত স্বাস্থ্য পরীক্ষক এম এ রাজ্জাক।তিনি বলেন, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এসেছিলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি যে স্লিপ নিয়ে এসেছিলেন, সেটা অনুযায়ী আমি পরীক্ষা করে দিয়েছি। ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে থাকা প্রধান বিচারপতির হঠাৎ ছুটিতে যাওয়া নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই নানামুখী আলোচনা চলছিল। এর মধ্যেই শনিবার অস্ট্রেলিয়ায় তার তিন বছরের ভিসা পাওয়ার খবর আসে।

আদালতের একটি সূত্র শনিবার রাতে জানায়, প্রধান বিচারপতি ও তার স্ত্রী সুষমা সিনহা শিগগিরই অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছেন। সেখানে বড় মেয়ে সূচনা সিনহার কাছে উঠবেন তারা।বএনপি অভিযোগ করেছে, প্রধান বিচারপতিকে প্রচন্ড চাপ দিয়ে’ ছুটিতে যেতে বাধ্য করা হয়েছে।প্রধান বিচারপতি অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটির আবেদন করেছেন জানিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক যে দরখাস্ত সংবাদমাধ্যমের সামনে এনেছেন, সেটাকে ভুয়া বলছে দলটি।ওই আবেদনে বিচারপতি সিনহার যে স্বাক্ষর, তার সত্যতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ।ভিসা প্রক্রিয়ার কাজ সারতে গত বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়া দূতাবাসে গিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। মওদুদ সেদিন বলেছিলেন, প্রধান বিচারপতিকে জোর করে’ ছুটি দেওয়ার পর বিদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধান বিচারপতির ছুটির সঙ্গে রায়ের কোনো সম্পর্ক নেই, চাপেরও কোনো বিষয় নেই।২০১৫ সালের ১৭ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পাওয়া বিচারপতি সিনহার চাকরির মেয়াদ রয়েছে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। তার অবর্তমানে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা প্রধান বিচারপতির দায়িত্বভার পেয়েছেন।