বাংলাদেশ নতুন করে আসা রোহিঙ্গারা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠিকে মারাত্নক ডায়রিয়াজনিত রোগ থেকে সুরক্ষা দিতে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কলেরার টিকা খাওয়ানোর কার্যক্রম শুরু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দুই শতাধিক ভ্রাম্যমান টিকাদানকারী দলের কাছে ৯ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইউনিসেফের সহায়তায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে উখিয়া ও টেকনাফ এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এই দুটি অঞ্চলে আগে থেকে অবস্থান করা এবং নতুন করে আসা রোহিঙ্গাদের এই টিকাদানের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর বাংলাদেশে নিয়ে আসা মোট ৯ লাখ ডোজ টিকা দুই দফায় বিতরণ করা হবে। প্রথম দফায় এক বছর বা তার বেশি বয়সী মোট ৬ লাখ ৫০ হাজার শিশুকে এই টিকা খাওয়ানো হবে।দ্বিতীয় ধাপে আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে বাড়তি সুরক্ষা দিতে এক থেকে পাঁচ বছর বয়সী ২ লাখ ৫০ হাজার শিশুকে এই টিকা খাওয়ানো হবে।

ইউনিসেফ বাংলাদেশ প্রতিনিধি এডওয়ার্ড বলেন, ২০১৬ সালের হাইতির পর এটিই হবে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম টিকা খাওয়ানোর কার্যক্রম। কলেরা একটি বিপজ্জনক রোগ, বিশেষ করে আবদ্ধ ও অস্বাস্থ্য কর পরিবেশে থাকা শিশুদের ক্ষেত্রে। তাই এই রোগ প্রতিরোধ অত্যাবশ্যক।

ক্যাম্প ও অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র গুলোতে গত সপ্তাহে ডাইরিয়া আক্রান্ত সংখ্যা কমপক্ষে ১০ হাজার ২‘শ ৯২ জনের রিপোর্ট পাওয়া গেছে।ইউনিসেফ, ডব্লিউএইচও পরিকল্পনা, বিতরণ, স্বেচ্ছাসেবী ট্রেনিং, পরিচালনা ব্যায় ও পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে এই কার্যক্রম চালাতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সহায়তা করছে। টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করতে প্রতি দলে পাঁচ জন করে উখিয়ায় ১৫০ টি এবং টেকনাফে ৫০ টি দল পাঠানো হয়েছে।