মানবিক কারণে আশ্রয় দিলেও নতুন করে আসা রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে মন্তব্য করে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সঙ্কট সমাধানে বিশ্ব ব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশ্ববাসীর কাছে এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ সম্পূর্ণ মানবিক কারণে এই বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দিলেও এখন এটা বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।স্থানীয় সময় মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্ব ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আয়োজনে পার্লামেন্টারি নেটওয়ার্ক ওয়ার্কশপে শিরীন শারমিন এ কথা বলেন।বুধবার সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আইএমএফ সদর দপ্তরে ওই কর্মশালায় রোহিঙ্গা সঙ্কট সমাধানে স্পিকার বিশ্ব ব্যাংকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতে দাতা সংস্থাসহ বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা চার লাখের মত রোহিঙ্গা গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে। আর গত ২৫ অগাস্ট রাখাইনে নতুন করে দমন অভিযান শুরুর পর বাংলাদেশে এসেছে আরও পাঁচ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গা।শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ সরকার দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে কাজ করছে। বাংলাদেশে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন নীতিমালা রয়েছে, যার মাধ্যমে মানবসম্পদ, বিশেষ করে নারী ও যুবসমাজের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়নে সরাসরি অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। শুধু দক্ষতা উন্নয়নই নয়, সুষম উন্নয়নের জন্যও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন প্রয়োজন।জ্বালানির সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে জীবাশ্ম জ্বালানির বিকল্প অনুসন্ধানের ওপর জোর দেন বাংলাদেশের স্পিকার।তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশ সবচেয়ে হুমমির সম্মুখীন। অথচ জলবায়ু দূষণে বাংলাদেশের ভূমিকা খুবই নগণ্য। এ জন্য বাংলাদেশ নিজস্ব তহবিল গঠনের মাধ্যমে পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে।সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মহিউদ্দীন খান আলমগীরও এ কর্মশালায় অংশ নেন।রোববার যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন স্পিকার শিরীন শারমিন। আগামী ২০ অক্টোবর তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।