রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর সামঞ্জস্যহীন ক্ষমতা প্রয়োগের প্রতিবাদে মিয়ানমারের শীর্ষ সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। বুধবার এক চুক্তির বরাত দিয়ে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি এই খবর জানিয়েছে।ইইউ সতর্ক করে জানিয়েছে, যদি রাখাইন পরিস্থিতির উন্নতি না হয় তাহলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।এই চুক্তিটি ইইউ’র রাষ্ট্রদূতরা অনুমোদন করেছেন এবং সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে তা স্বাক্ষরিত হবে। এতে বলা হয়েছে, এতো মানুষের পালিয়ে যাওয়া ‘সংখ্যালঘুদের উৎখাতের বিষয়টিকেই ইঙ্গিত দেয়।

উভয় পক্ষকে অবিলম্বে সহিংসতা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে চুক্তিটিতে বলা হয়েছে, ‘নিরাপত্তাবাহিনীর সামঞ্জস্যহীন শক্তিপ্রয়োগের ঘটনায় ইইউ এবং এর সদস্য দেশ মিয়ানমারের সেনাপ্রধান ও শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের সবধরনের আমন্ত্রণ বাতিল করছে এবং সবধরনের প্রতিরক্ষা সহযোগিতা পুনর্বিবেচনা করা হবে।মিয়ানমারের কাছে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম রফতানিতে আগে থেকেই ইইউ’র নিষেধাজ্ঞা ছিল। প্রস্তাবিত চুক্তিতে বলা হয়েছে, যদি সংকটের উন্নতি না ঘটে তাহলে আরও পদক্ষেপের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।২৫ আগস্ট রাখাইনে সামরিক অভিযান শুরুর পর বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছে পাঁচ লাখ বিশ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। মাঝখানে কয়েকদিন রোহিঙ্গাদের ঢল কিছু মাত্রায় কমে আসলেও চলতি সপ্তাহে তা আবার বেড়েছে। সোমবার বাংলাদেশে প্রায় এগারো হাজার রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘ মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অভিযানকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের প্রামাণ্য উদাহরণ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সূত্র: ফ্রন্টিয়ার মিয়ানমার।