ছাত্রীর সাথে প্রেম করে দ্বিতীয় বিয়ে করার অপরাধে আশরাফুল আলম খান বকুল নামের এক বি,এসসি শিক্ষককে বিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ঐ শিক্ষক লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় উপজেলার শাহ্ গরীবুল্যাহ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন। ঐ শিক্ষক বকুল (১৪ অক্টোবর) তার সাময়িক বহিস্কারের পত্র গ্রহণ করেন।

এর আগে গত সোমবার (৯ অক্টোবর) ছাত্রীকে বিয়ে করার নৈতিক স্খলন ভঙ্গ, তার কাছে ছাত্রীদের পাঠ গ্রহণে অনীহা প্রেক্ষিতে তাকে বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এর আগে (৮ অক্টোবর) ঐ শিক্ষকের বহিস্কারের দাবিতে তার ক্লাস বর্জন করে ছাত্রীরা এবং ঐ শিক্ষকের কাছে ছাত্রীরা নিরাপদ নয় মর্মে অত্র বিদ্যালয়ের অভিযোগ করেন অভিভাবকগন।

শিক্ষক বকুলের অপকর্মের কারণেই বেশ কয়েকজন অভিভাবক তাদের মেয়েকে বিদ্যালয় পরিবর্তনের ছাড়পত্র চেয়ে আবেদন করেছেন। এর ফলে বিদ্যালয়টিতে ছাত্রীসংখ্যা কমে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে এবং দরবেশ বাবার নামে প্রতিষ্ঠি ঐতিহ্যবাহী ঐ নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ভাবমূর্তি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।

শিক্ষক বকুলকে সাময়িক বরখাস্ত করার পাশাপাশি চাকরি থেকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করার জন্য কেন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে না- সেজন্য সাত কর্মদিবসের মধ্যে তাকে জবাব দাখিল করতে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ঐ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো শিক্ষক বকুলের। মেয়েটি স্থানীয় এক কলেজে থেকে ইন্টারমিডিয়েটের পাঠ শেষ করে রংপুরে কোচিং করছিলো। সেখানেই শিক্ষক বকুল তার ছাত্রীকে গোপনে বিয়ে করে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে নিজ বাড়িতে তুলে। আর এনিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় শুরু হয়। শিক্ষক সমাজের এমন নৈতিক শৃঙ্খলনের অধঃপতন দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েন অভিভাবক বৃন্দ।

এছাড়াও ঐ শিক্ষের এ বিয়ের কয়েকদিন আগে তার ছেলে প্রেম করে একটি মেয়েকে বিয়ে করে। আর ছেলের বউয়ের বয়সী এক মেয়েকে বিয়ে করা যেন, কোন ভাবেই মেনে নিতে পাড়ছেনা শুষিল সমাজসহ অভিভাবকগন।

এবিষয়ে অভিযুক্ত ঐ শিক্ষক আশরাফুল আলম খান বকুলের সাথে বারবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। বিষয়টি নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা হলে তিনি ঐ শিক্ষক বকুলের সাময়িক বহিস্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।