পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, মিয়ানমারের গণহত্যা থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়া উচিত বলে মনে করে চীন ও জাপান। কূটনৈতিক তৎপরতার কারণে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা সংকটে বাংলাদেশের পাশে আছে। আজ বুধবার রাজধানীতে রোহিঙ্গা বিষয়ে সাম্প্রতিক অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

এ এইচ মাহমুদ আলী বলেন, ‘চীন ও জাপানের বক্তব্যে আশাব্যঞ্জক পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে। উভয় দেশই তাদের রক্তব্যে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেছে। রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান যে মিয়ানমারকেই করতে হবে তা স্বীকার করেছে।’

‘মিয়ানমারের প্রতিনিধি তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের সঙ্গে চলমান কূটনৈতিক আলোচনার কথা উল্লেখ করেছেন এবং কফি আনার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে ইউনিয়ন এন্টারপ্রাইজ গঠন, মন্ত্রি পর্যায়ের বাস্তবায়ন কমিটি গঠন এবং অ্যাডভাইজরি গ্রুপ প্রতিষ্ঠার কথা উল্লেখ করেছেন।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকারের কূটনৈতিক উদ্যোগ ও জনসংযোগের ফলে রোহিঙ্গা সংকট বিশ্বে গুরুত্ব পেয়েছে। সবাই বাংলাদেশের প্রসংশা করছে আর সংকট সমাধানে মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ছে। এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীন ও রাশিয়ার অবস্থান আগের চেয়ে পরিবর্তন হয়েছে। প্রয়োজনে সেসব দেশে বিশেষ দূত পাঠানো হবে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করতে আলোচনায় বসতে হবে।

গত ২৫ আগস্ট শুরু হওয়া ওই হত্যাযজ্ঞের পর এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ রোহিঙ্গা সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে। প্রতিদিন নতুন করে বাংলাদেশ সীমান্তে এসে ভিড় করছে রোহিঙ্গা সদস্যরা। গত সাত সপ্তাহে এ নিয়ে এক মানবিক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এ ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের ধ্রুপদী’ উদাহরণ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছে জাতিসংঘ।