রংপুর দুদকের মামলায় বড়খাতা রূপালী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকসহ চার জনের ১০ বছরের সাজা দিয়েছে আদালত। গত সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার পৃথক দুটি মামলায় তাদের এ সাজা দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

সাজা প্রাপ্তরা হচ্ছেন- লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা রূপালী ব্যাংক শাখার সাবেক ব্যস্থাপক আব্দুল ওয়াহেদ, একই শাখার কর্মকর্তা তৈয়ব হোসেন, ক্যশিয়ার মজিবর রহমান ও গ্রাহক আলতাফ হোসেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার বড়খাতা ব্যাংকের শাখা হতে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৪১৫ টাকা তুলে আত্মসাৎ এবং ১৩ জন গ্রাহকের ১০ লাখ ৭৮ হাজার ১০০ টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেন। ২০০৫ সালে আত্মসাতের ঘটনাটি প্রকাশ পেলে লালমনিরহাট জেলা শাখার ম্যানেজার মোঃ ইলিয়াস আলী বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। পরবর্তিতে মামলা দুটি রংপুর দুদকে স্থানান্তর করা হয়। রংপুর দুদকের সহকারি পরিচালক খায়রুল হুদা ও আখতার হোসেন মামলা দুটি পৃথকভাবে তদন্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করেন।

সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৪১৫ টাকা আত্মসাতের মামলায় ৪ জনকে ৪ বছরের সাজা এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের জেল দেয়া হয়। এছাড়া প্রত্যেককে ৭৩ হাজার ৩৫৪ টাকা জমা দেয়ার দেয়ার আদেশ দেয়া হয়। এছাড়া ১০ লাখ ৭৮ হাজার ১০০ টাকা আত্মসাতের মামলায় ৪ জনকে ৬ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের জেল দেয়া হয়। এছাড়া প্রত্যেককে ২ লাখ ৯৩ হাজার ৪১৫ টাকা জমা দিতে বলা হয়। টাকা জমা দিতে ব্যর্থ হলে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেয়া হয়। দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন পিপি শামিমা আকতার শিরিন এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আব্দুর রশিদ চৌধুরী ও আব্দুল হক প্রামানিক।