সৃষ্ট সঞ্চালনশীল মেঘমালা ও অমাবস্যার প্রভাবে কলাপাড়ার উপকূলীয় জনপদে বৃষ্টিপাত ও দমকা মৃদু ঝড়োহাওয়া বইছে। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় ঝড়ো হাওয়ার আশঙ্কায় দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলেছে অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এ কারণে উপকূলজুড়ে মানুষের জীবন-যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সাগর ও নদীতে বইছে অস্বাভাবিক জোয়ার। সাগর মাঝারি ধরনের উত্তাল রয়েছে। তবে ইলিশ শিকারে অবরোধ থাকায় কোন ফিশিং বোট সাগরে নেই। পায়রা বন্দরসহ তৎসংলগ্ন এলাকায় তিন নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে আবহাওয়া অফিস । দিনভর অব্যাহত বৃষ্টি ও থেমে থেমে দমকা ঝড়ো হাওয়ায় আগাম জাতের কেবল শীষ বের হওয়া ধানের অনেকটা ক্ষতি হয়েছে বলে কৃষকরা জানান।

বৃহস্পতিবার আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়, পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।নিম্নচাপটি সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৭৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান বলেন, এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।