ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে প্রায়ই ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে জনসাধারণ ও গাড়ি চালকরা আতংকে চলাফেরা করছে।বিশেষ করে রাতে গাড়ি চালকরা ডাকাতের ভয়ে গাড়ি চালাতে ভয় পাচ্ছে ।সর্বশেষ বুধবার ভোরে কালীগঞ্জ উপজেলার কেয়াবাগান-মুন্দিয়া এলাকায় ৭ গাড়ি চালককে কুপিয়ে জখম করে ও ৩০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। এ ঘটনায় আহতদের যশোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যাত্রী ও গাড়িচালকরা জানান, বুধবার রাত ৩টার দিকে ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের সড়কে গাছ ফেলে একদল ডাকাত ডাকাতি করে। এ সময় হাবিবুর রহমান নামে এক ট্রাক চালক কে জখম করে ও তার কাছ থেকে তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এভাবে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। এ দিন রাত ৩টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত রঘুনাথপুর থেকে দুলাল মুন্দিয়া পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কে রাস্তার দুই পাশে কয়েকশ’ গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। খবর পেয়ে ভোর সাড়ে ৬টার দিকে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ডাকাতির সময় গাড়িতে থাকা চালক রেজাউল ইসলাম জানান, আমরা এই সড়কেই যানবাহন চালায়। প্রায় এই এলাকাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশের টহল জোরদার হলে আমরা শান্তিতে চলাফেরা করতে পারব। কালীগঞ্জ উপজেলায় আইনশৃংখলা যাইহোক না কেন , থানা পুলিশ প্রতিদিন গ্রেফতার বানিজ্য নিয়ে থাকে ব্যাস্ত। সবজি ব্যবসায়ী মোবারক আলী জানান, বুধবার রাতে ডাকাতির ঘটনায় আমার ট্রাক থেকে ১৬ হাজার ৮০০ টাকা লুট করে ডাকাতরা। গত২৮ জুলাই উপজেলার রঘুনাথপুর তেলোপলি এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় অনেক ট্রাকে ডাকাতি করা হয়। ৪ আগস্ট দুলাল মুন্দিয়া এলাকায় ডাকাতি হয়। রাতে পুলিশ ডিউটি না করে কালীগঞ্জ বৈশাখি মোড়ে সরকারি পোশাক পরিহিত অবস্থায় ক্যারাম বোর্ড খেলা করে রাত ১০ টা থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত। কখন ও রাতের গাড়ি গুলো কালীগঞ্জ মেইন বাস ষ্ট্যান্ডে বসে বসে মোবাইল ফোন দিয়ে ফেইজ বুক চালায়। কালীগঞ্জ থানার ওসি মিজানুর রহমান খান ডাকাতি হওয়ার ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, এটি একটি কাল্পনিক ঘটনা। আমরা সংশ্লিষ্ট আহত চালকদের কাছে ফোন করব এবং ঘটনা সত্য হলে পদক্ষেপ নেব।