পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যা মামলায় তাদের মেয়ে ঐশী রহমানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। মোট ৭৮ পৃষ্ঠার এই রায় প্রকাশ করা হয় সুপ্রিমকোর্টের ওয়েব সাইটে।বৃহস্পতিবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সে রায় ঘোষণা করেন। রাজধানীর মালিবাগে পুলিশ কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় তাদের মেয়ে ঐশী রহমানকে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে হাইকোর্ট গত ৫ জুন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।

মৃত্যুদণ্ডযোগ্য অপরাধ হওয়ার পরও যে বিষয়গুলো বিবেচনায় ঐশীর সাজা কমানো হয় সেগুলোর মধ্যে প্রধান কারণ হিসেবে বলা হয়: বংশগতভাবে ঐশীর পরিবারে (নানি ও মামা) মানসিক রোগীর উপস্থিতি ছিল। এছাড়া হত্যার ঘটনার দুইদিন পই ঐশীর আত্মসমর্পণ এবং অতীতে ঐশীর বিরুদ্ধে অন্য কোন ক্রিমিনাল রেকর্ড (অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা) না থাকা।

২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের একটি ফ্ল্যাট থেকে পুলিশের পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পরদিন মাহফুজুর রহমানের ভাই মশিউর রহমান পল্টন থানায় হত্যা মামলা করেন। ওইদিনই ঐশী পল্টন থানায় আত্মসমর্পণ করে।

এরপর ২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর ঐশীকে মৃত্যুদণ্ড, তার বন্ধু মিজানুর রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।ওই বছরের ১৯ নভেম্বর নিম্ন আদালতের রায়সহ নথিপত্র হাইকোর্টে আসে এবং পরে ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়।

২০১৫ সালের ৬ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করে ঐশী। পরে মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে হাইকোর্ট গত ৫ জুন ঐশীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।