প্রথম সাবমেরিন কেবল মেরামতের কাজ চলার কারণে ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর ইন্টারনেটের গতি কমে যেতে পারে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। রোববার সচিবালয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়ে বলেন, ওই সময় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল থেকে ব্যান্ডউইডথ সরবরাহের পাশাপাশি বাংলাদেশ ছয়টি বিকল্প সাবমেরিন কেবলের (আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবল) সঙ্গে যুক্ত থাকবে বলে সমস্যা হবে না।

বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, আগামী ২৪ থেকে ২৬ অক্টোবর একটি মেরামতের কাজ হবে, রিপিটার পরিবর্তন করতে হবে। এ জন্য তিন দিন কিছুটা ধীরগতি হতে পারে।প্রথমবারের মতো সংস্কার কাজের জন্য এই বিঘœ ঘটছে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সাবমেরিন কেবল ‘সি-মি-উই-৪’ এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে, যার মাধ্যমে ২৫০ জিবিপিএস (গিগাবিট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যাচ্ছে। এটি ছাড়াও বাংলাদেশ ছয়টি বিকল্প সাবমেরিন কেবলের (আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবল) সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।গত ১০ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চালু হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন।কলাপাড়া উপজেলার গোড়া আমখোলাপাড়ায় এই ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সাউথইস্ট এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন কেবল থেকে সেকেন্ডে ১ হাজার ৫০০ গিগাবিট (জিবি) গতির ইন্টারনেট পাবে বাংলাদেশ।ইন্টারনেট গেইটওয়ে ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির জানান,বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথের চাহিদা ৪০০ জিবিপিএসের বেশি। এর মধ্যে ১৮০ জিবিপিএস রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিএসসিসিএলের মাধ্যমে আসছে। বাকি জিবিপিএস আইটিসির ব্যান্ডউইডথ ভারত থেকে আমদানি করা হচ্ছে।