জর্ডানের রাণী রানিয়া আল আবদুল্লাহ বলেছেন, কেবল মানবিক কারণে নয়, ন্যায় বিচারের স্বার্থে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানো উচিত। সোমবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন। এসময় তিনি রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর জাতিগত নিধনকে বিশ্বের সবচেয়ে জঘন্যতম বর্বরতম ঘটনা বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বিশ্ববাসীকে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন। পাশাপাশি মিয়ানমারের গণহত্যার বিরুদ্ধেও বিশ্ববাসীকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বেলা ১১ টার পরে বিমানযোগে কক্সবাজার পৌঁছান জর্ডানের রাণী। এসময় তার সঙ্গী ছিলো আরো ৫ জন। দুপুর ১২ টা ২ মিনিটের সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম চৌধুরীসহ জর্ডানের রাণী রানিয়া আল আব্দুল্লাহ কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে পৌঁছান। এরপর তিনি ক্যাম্পের কয়েকটি স্থান ঘুরে দেখেন। পর্যবেক্ষণ করেন আর্ন্তজাতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলোর কার্যক্রম। এসময় মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলেন।

পরিদর্শন শেষে উখিয়ার কুতুপালং আইওএম এর অস্থায়ী হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেন রাণী। সংবাদ সম্মেলনে রাণী রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের উচ্চকিত প্রশংসা করেন।

এসময় তিনি বলেন, এখানে ৯৫ ভাগ রোহিঙ্গা মৌলিক চাহিদার সংকটে রয়েছে। মিয়ানমারে যে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড চলছে তা নজিরবিহীন। বিশ্বসম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, জেনেভায় অনুষ্ঠিত আজকের বৈঠকে রোহিঙ্গাদের জন্য পর্যাপ্ত মানবিক সহায়তা পাওয়া যাবে।

জর্ডানের রাণী ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির (আইআরসি) একজন বোর্ড সদস্য। একইসঙ্গে তিনি জাতিসংঘের মানবিক সংস্থাগুলোর পরামর্শক।