ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন,তার দেশ সব প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বাংলাদেশকেই অগ্রাধিকার দেয়।বাংলাদেশের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলো ‘ইমানদারির সঙ্গে’ মিটিয়ে ফেলার আগ্রহেরও কথাও তিনি বলেছেন।সোমবার ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নতুন চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য আসে।
ভারতের পররাষ্ট্রনীতিতে প্রতিবেশিকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়ে থাকে আর এ তালিকায় সবার আগে রয়েছে বাংলাদেশ বলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। সোমবার ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের নতুন চ্যান্সেরি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করে এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে ভারত সরকারের অর্থায়নে ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন সুষমা স্বরাজ।নতুন চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স উদ্বোধন করতে পেরে আনন্দিতÑ এ বছর প্রায় ১৪ লাখ বাংলাদেশি নাগরিককে ভিসা দেয়ার আশা ব্যক্ত করেন তিনি।এসময় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেন, ‘পড়শি পেহেলে, লেকিন বাংলাদেশ সবচে পেহেলে।এ সময় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এইচ এম মাহমুদ আলীর সঙ্গে সম্পর্কের প্রসঙ্গে সুষমা বলেন, এরই মধ্যে আমরা দাদা-দিদি সম্পর্ক পাতিয়ে ফেলেছি।চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধনের পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তরুণদের ওপর বেশি করে বিনিয়োগ করতে হবে এতে আমাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ থাকবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামও উপস্থিত ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে।ইংরেজিতে বক্তৃতা দিতে শুরু করে সুষমা স্বরাজ এক পর্যায়ে হিন্দিতে বলতে শুরু করেন, ভারতের কাছে প্রতিবেশীর আগে, কিন্তু বাংলাদেশ সবার আগে।তিনি বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক বর্তমানে ‘অসাধারণ’। দুই দেশের মধ্যে অমীমাংসিত যে বিষয়গুলো রয়েছে, তার সমাধানে দুই পক্ষই বন্ধুত্বের মেজাজে সঠিক পথে কাজ করছে। কোন কোন সমস্যা মেটাতে দুই দেশ কাজ করছে সুষমা তা স্পষ্ট না করলেও তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন চুক্তির বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে আলোচনার টেবিলে ঝুলে আছে।সুষমা বলেন, আমি আপনাদের নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আমরা দুই দেশ মিলে সব বিষয় ইমানদারির সঙ্গে মিটিয়ে ফেলব।ভারত-বাংলাদেশ যৌথ পরামর্শক কমিশনের চতুর্থ সভায় অংশ নিতে দুই দিনের সফরে রোববার ঢাকা আসেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। রাতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সোমবার বারিধারায় ভারতীয় হাই কমিশনের চ্যান্সেরি কমপ্লেক্স উদ্বোধনের পাশাপাশি ভারত সরকারের অর্থায়নের ১৫টি উন্নয়ন প্রকল্পেরও উদ্বোধন করেন তিনি। এছাড়া ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক এবং ঢাকায় ভারতের হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলাও উপস্থিত ছিলেন ওই অনুষ্ঠানে।