চীন সীমান্তে নতুন করে অর্ধশত নিরাপত্তা ঘাঁটি বসাতে যাচ্ছে ভারত। অন্তত ৫০টি শীত নিয়ন্ত্রক (তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত) ঘাঁটি হবে বলে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং জানান, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অরুণাচলে তৈরি হবে ৫০টি নতুন সড়ক। তিনি বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, সীমান্ত সেনাঘাঁটিগুলোর মধ্যে সংযোগ ঘটাতে অরুণাচল প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ ও উত্তরাখ-ে ২৫টির বেশি রাস্তায় দ্রুত বেগে নির্মাণকাজ চলছে। ইন্দো টিবেটান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি) জওয়ান ও অফিসাররা যাতে ম্যান্ডারিন ভাষার প্রাথমিক পাঠ নেন, প্রশিক্ষণের সময় সে বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। সীমান্ত অঞ্চলে চীনা সেনার সঙ্গে সংঘর্ষের সময় তারা যাতে ভাষা সমস্যায় না পড়েন, তাই এই ব্যবস্থা। মন্ত্রী জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের লাদাখে পরীক্ষামূলক একটি সেনাশিবির তৈরি করা হয়েছে। তা সফল হলে সীমান্ত ঘেঁষে এমন আরও ঘাঁটি তৈরি হবে।ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নজরদারি আরও বাড়ানো হচ্ছে। জি-স্যাট যোগাযোগ প্রক্রিয়া এবং উপগ্রহভিত্তিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে।

একই উদ্দেশে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ), এসএসবি ও আইটিবিপির জন্য পৃথক স্যাটেলাইট ব্যান্ডউইথের প্রস্তাব নিয়েও চিন্তাভাবনা করছে দেশটির মন্ত্রণালয়।বাংলাদেশ ছাড়া, পাকিস্তান, চীন, নেপাল ও মায়ানমারের সঙ্গে মোট ১৫ হাজার কিলোমিটারজুড়ে সীমান্ত রয়েছে ভারতের। বর্তমানে ইসরো নির্মিত ১৩টি উপগ্রহের সাহায্যে সীমান্ত ও সংলগ্ন অঞ্চলে নজর রাখে বিএসএফ, এসএসবি ও আইটিবিপি। নজরদারির জন্য ভারতীয় নৌবাহিনীর রয়েছে নিজস্ব সামরিক উপগ্রহ জি স্যাট-৭ ওরফে রুক্মিনী।এর আগে বিতর্কিত ভূখন্ড ডোকলাম নিয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে ৭০ দিন ধরে চলে উত্তেজনা-অচলাবস্থা। তা থেকে নয়াদিল্লিকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল চীনের সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)। ভারত-চীন-ভুটান সীমান্তে অবস্থিত বিতর্কিত ওই মালভূমিতে দুই দেশের সেনা সমাবেশ ঘটানোকে কেন্দ্র করে এ উত্তেজনা দেখা দেয়।