রোহিঙ্গামিয়ানমারের সেনাবাহিনী থেকে সামরিক সহায়তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর চলমান নির্যাতনের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে মিয়ানমার থেকে তাদের সামরিক সহায়তা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে।মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, মিয়ানমার থেকে সামরিক সহায়তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। পাশাপাশি মিয়ানমারের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে দেশটির সেনা কর্মকর্তাদের ভ্রমণের ব্যাপারে দেওয়া আর্থিক সহায়তায় বন্ধ করা হয়েছে।মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিপীড়ন ও নৃশংস ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে জবাবদিহির আওতায় নিয়ে আসা গুরুত্বপূর্ণ।

গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন বলেছিলেন, মিয়ানমারের সামরিক নেতৃত্ব রোহিঙ্গাদের ওপর দমন-পীড়নের জন্য দায়ী বলে যুক্তরাষ্ট্র মনে করে।সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা ইস্যু বহুদিন ধরেই মিয়ানমারের অন্যতম আলোচিত সংকট। তবে এই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে ‘রোহিঙ্গা’ বলতে নারাজ মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। গত ২৫ আগস্ট রাতে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি ও তল্লাশিচৌকিতে সন্ত্রাসী হামলা এই সংকটকে নতুন করে উসকে দেয়। এর জেরে সেখানে নতুন করে সেনা অভিযান শুরু হয়, চলে দমন-পীড়ন। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ আসছে। গত কয়েক সপ্তাহে ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এখনো প্রতিদিন সীমান্ত পেরিয়ে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকছে।