রাজধানীর পাবলিক বাসে সিটিং সার্ভিস বন্ধ হবে কি না এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসছে আগামী সপ্তাহে।বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিষদের উপদেষ্টা পরিষদের ৪১তম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মন্ত্রী জানান, রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বন্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি এ বিষয়ে আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জনা দেবে।প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতেই এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।এর পাশাপাশি আঞ্চলিক সড়ক ও মহাসড়কগুলো রক্ষা করতে পরিবহনের ওভারলোড বন্ধ করার পক্ষে সভায় মতামত দেন সংশ্লিষ্টরা।এ বিষয়ে বিষয়ে সড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামকে প্রধান করে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে কমিটিকে ৭দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জনা দিতে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি। গত মে মাসে বিআরটিএ গঠিত সিটিং সার্ভিস বিষয়ক কমিটি ইতোমধ্যে প্রতিবেদনটি সংস্থার কর্তৃপক্ষের মধ্যে জমা দিয়েছে। ‘দুই-তিন দিনের মধ্যে’ ওই প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাওয়ার আশা করছেন মন্ত্রী কাদের।গত এপ্রিল মাসে ঢাকা নগরীতে সিটিং সার্ভিস বাস বন্ধ করার পর মালিকদের অসহযোগিতায় সড়কে দেখা দেয় অচলাবস্থা। এরপর সরকার পিছু হটে একটি কমিটি করে দেয়।বুধবার সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের ৪১তম সভা শেষে সিটিং সার্ভিসের ভোগান্তির কথা তুলে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, সিটিং সার্ভিসের বিষয়ে একটি কমিটি আছে, সেই কমিটির প্রতিবেদনটি দুই-তিন দিনের মধ্যে আমরা পেয়ে যাব।

প্রতিবেদন পাওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে তার ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সমস্যা সমাধান করার।বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ওই কমিটি গত সেপ্টেম্বরে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।কমিটি ‘নিয়ন্ত্রণের মধ্যে’ রাজধানীর বিভিন্ন রুটে সীমিত আকারে সিটিং সার্ভিসের বাস রাখার সুপারিশ করেছে। একটি কোম্পানির সব বাস সিটিং সার্ভিস হিসেবে না চালিয়ে কিছু বাস সিটিং এবং বাকিগুলো নন-সিটিং হিসেবে পরিচালনার সুপারিশ করেছে তারা।ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত করার উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, পথচারীদের ফুটপাত পথচারীদের ফিরিয়ে না দিলে মেট্রোরেল-ফ্লাইওভারে খুব একটা কাজ হবে না।যানজট এড়াতে ছোট যানগুলোর সংখ্যা কমিয়ে আনার উপরও জোর দেন সড়ক পরিবহনমন্ত্রী।এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যানজট আমার জন্য প্রযোজ্য, কারণ আমি উল্টো পথে চলি না, যানজটে আপনাদের যে কষ্ট, আমারও তাই।ভারি বর্ষণকে সড়কগুলো রক্ষার ক্ষেত্রে অন্তরায় হিসেবে চিহ্নিত করেন তিনি।মহাসড়কে পরিবহনে ওজন নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ‘হাই পাওয়ার কমিটি’ গঠন করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।স্টেকহোল্ডার সাথে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্তে আসতে সড়ক বিভাগের সচিবসহ মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে এই কমিটি আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেবে।জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে নসিমন-করিমন বন্ধ করার বিষয়ে হাইওয়ে পুলিশের প্রশংসা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব গাড়ি যন্ত্রপাতি আমদানি বন্ধে বাণিজ্যমন্ত্রীর আশ্বাস মিলেছে।এসব গাড়ি বন্ধ করা হলে তার বিকল্প খোঁজার উপরও জোর দেন তিনি।হিউম্যান হলারের অনুমতি বিভিন্ন জায়গায় দেওয়া হয়েছে। যাত্রীদের সুবিধায় স্বল্প দূরত্বে পরিবহন মালিকদের অনুরোধ জানানো হয়েছে।সিএনজিচালিত অটোরিকশার ইকোনমিক লাইফ বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে এবং এ মতামতের ভিত্তিতে শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানান মন্ত্রী।অনলাইন নিউজ পোর্টাল পূর্বপশ্চিমবিডির জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক উৎপল দাস অন্তর্ধানের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের সাংবদিকদের প্রশ্নে বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে আলাপ করে দেখব।