অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এই সরকার সম্পূর্ণভাবে জনগণের সেবায় নিয়োজিত। সরকার যতক্ষণ থাকবে ততক্ষণ দেশের উন্নয়ন হবে। দেশের দারিদ্র্য দূর হবে। আমাদের উন্নয়নের একমাত্র লক্ষ্যমাত্রা হলো দারিদ্র্য দূর করা। সে লক্ষ্যেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য আমরা সময় নির্ধারণ করে দিয়েছি। ২০২৪ সালের পর দেশে কোনও দারিদ্র্য থাকবে না।

রবিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উন্নয়ন মেলা-২০১৭ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এই উন্নয়ন মেলার আয়োজন করেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান কাজি খলীকুজ্জমান আহমদ। বক্তব্য রাখেন পিকেএসএফ এর এমডি আব্দুল করিম। আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ছয় দিন এই মেলা চলবে।অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ৭০ শতাংশ। এখন সেটাকে আমরা নামিয়ে এনেছি ২২.৫০% শতাংশে। এটা আমাদের কৃতিত্বের বিষয়। তবে এটাতে আমরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট নই। কারণ এখনও এই দেশে তিন কোটি দরিদ্র মানুষ রয়েছে। এই তিন কোটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করতে আমরা বদ্ধপরিকর। শুধুই প্রত্যাশা নয়, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর হবে। বাংলাদেশ একদিন সমৃদ্ধশালী দেশ হবে।

এই অনুষ্ঠানে দুইজন বিশেষ ব্যক্তিকে সম্মাননা দেয় পিকেএসএফ। একজন হচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধা ফকির আব্দুল জব্বার এবং আরেকজন হলেন মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাসিব খান।বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, এই সমাজে মেয়েদের স্বাবলম্বী হতে হবে। মেয়েদেরকে স্বাবলম্বী করার ক্ষেত্রে পিকেএসএফ যে অবদান রাখছে সেজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক জনমত গঠনে অবদান রাখতে পিকেএসএফকে আহ্বান জানাই।তিনি বলেন, এই দেশের এনজিওগুলো সরকারের সাহায্যে চলে। আবার দেশ-বিদেশে সরকারের শুধুই সমালোচনা করে বেড়ায়। কেউ কেউ আবার পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধেও কথা বলে। কিন্তু কারও কোনও ষড়যন্ত্রে কাজ হয়নি। পদ্মা সেতু মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার গণমুখী সরকার। শেখ হাসিনার সরকার ছাড়া এদেশের কেউই গণমানুষের জন্য কাজ করেনি।