পদচ্যূত কাতালান প্রেসিডেন্ট কার্লেস পুইদেমন্ত বেলজিয়ামে অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছেন তার এক আইনজীবী। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ গঠনের মধ্যেই পুইদেমন্তের দেশ ছেড়ে বেলজিয়ামে যাওয়ার খবর এলো। তবে সেখানে তিনি রাজনৈতিক আশ্রয় চাইবেন কিনা, সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানাননি তার আইনজীবী। স্বাধীনতার প্রশ্নের গণভোটের জের ধরে মাসখানেক ধরে উত্তাল স্পেন ও কাতালোনিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি। গত সপ্তাহে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই কাতালোনিয়ার স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেয় মাদ্রিদ। সেইসঙ্গে পুইদেমন্তকে বার্সেলোনার ক্ষমতা থেকে পদচ্যুত করে স্পেন সরকার।

এদিকে গতকাল থেকে শুরু হয়েছে পুইদেমন্তের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদোহের মামলায় অভিযোগ গঠনের প্রক্রিয়া। বেলজিয়ান আইনজীবি পল বেকায়ের্ট জানিয়েছেন পুইদেমন্ত এই মুহূর্তে অবস্থান করছেন বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলস-এ। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি সেখানে তার আইনজীবি, যদি কখনও আমাকে তার দরকার হয়। তবে এই মুহূর্তে কোনো আইনি কাগজ এখনই তৈরি করছি না আমরা।’

এদিকে বেলজিয়ামের অভিবাসন মন্ত্রী থিও ফ্র্যাঙ্কলিন বলেছেন, সপ্তাহান্তের মধ্যে পুইদেমন্তের তরফ থেকে আশ্রয় প্রার্থনার আবেদন ‘অবাস্তব’ নয়। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী চার্লস মিশেল বলেছেন, এটাই পুইদেমন্তের বেলজিয়ামে আসার মূল উদ্দেশ্য নয়। স্প্যানিশ গণমাধ্যমের খবর, বেলজিয়ামে একাই যাননি পুইদেমন্ত। তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জোয়াকিম ফর্ন, কৃষি মন্ত্রী মেরিটজেল সেরেট, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এন্টনি কমিন, শ্রমমন্ত্রী ডলোরস বাসা ও শাসন বিষয়ক মন্ত্রী মেরিটজেল বোরাসও ব্রাসেলসে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে তারা ওই অঞ্চলের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন এরইমধ্যে।

সোমবার পুইদেমন্তের বিরুদ্ধে স্পেনের অ্যাটর্নি জেনারেল হোসে মানুয়েল মাসা রাষ্ট্রদোহসহ তিন দফার অভিযোগ দায়ের করেন।এই মামলায় দোষী প্রমাণিত হলে পুইদেমন্তের ৩০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।