গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অপহরণের মামলায় জামাতাকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজের ফাঁদে ফেঁসে গেছে তার শ্বশুড়। অপহরণের ঘটনা সাজিয়ে আতœগোপনে থাকার ২২ দিন পর রবিবার দুপুরে ওই ব্যক্তিকে (শ্বশুড়) পুলিশ নীলফামারী থেকে উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত ব্যক্তির নাম মোক্তার হোসেন (৫৩)। সে টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার শাখারিয়া বটতলা এলাকার লালমিয়ার ছেলে।

কালিয়াকৈর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১০/১২ বছর আগে কালিয়াকৈর উপজেলার নন্দারচালা এলাকায় বনের জমিতে ঘর নির্মাণ করে মোক্তার হোসেন তার স্ত্রী মাজেদা আক্তার ও একমাত্র মেয়ে শ্রাবনী আক্তারকে নিয়ে বসবাস করে আসছে। সে এলাকায় দিন মজুরের কাজ করে। প্রায় বছর খানেক আগে প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে একই এলাকার খুরম আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান মিয়ার (৩২) সঙ্গে শ্রাবনীর বিয়ে হয়। গত ১২ অক্টোবর পারিবারিক কলহের জের ধরে জামাই-শ্বশুড়ের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়। ওই দিন বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে মোক্তার হোসেন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। এঘটনায় মোক্তার হোসেনের স্ত্রী মাজেদা বেগম বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় ১৪ অক্টোবর রাতে তার একমাত্র মেয়ের জামাতা আব্দুল মান্নান মিয়াসহ (৩২) ৮জনকে আসামী করে কালিয়াকৈর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

তারা আরো জানান, প্রাথমিক তদন্তকালে পুলিশ জানতে পারে মেয়ের জামাতাসহ কয়েকজনকে ফাঁসানোর জন্য মোক্তার হোসেন অপহরণের ঘটনা সাজিয়ে মামলা দায়ের করেছে। এর আগেও মান্নানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। গত ১২ অক্টোবর মোক্তার হোসেন বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রথমে তার গ্রামের বাড়ী টাঙ্গাইলের গোপালপুরে যায়। পরে সেখান থেকে নীলফামারীর ডিমলা থানার কিসমতচর এলাকায় চাচাতো ভাইয়ের শ্বশুড়বাড়ীতে গিয়ে আত্মগোপন করে অপহরণের ঘটনা সাজিয়ে থানায় মামলা দায়ের করে। এদিকে নিখোঁজ হওয়ার ২২ দিন পর রবিবার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোক্তার হোসেনকে নীলফামারীর ডিমলা থানার কিসমতচর এলাকা থেকে উদ্ধার করে। তাকে ডিমলা থানা থেকে কালিয়াকৈর থানা আনা হচ্ছে। তবে থানায় আনার পর মোক্তার হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কে জানা যাবে।