ঈশ্বরদী পৌর এলাকার নুর মহল্ল¬¬ার স্থায়ি বাসিন্দা কার্তিক ঘোষ দির্ঘ দিন থেকে মজাদার স্বাদের দই তৈরি করে আসছেন। তিনি দই এবং ঘি তৈরি করেন থাকেন। দুধ, চিনি এবং মিছরি দিয়ে মূলত দই তৈরি করা হয়। প্রথমে দুধকে দির্ঘ ৬-৭ ঘন্টা চুলার উপরে বড় হাড়িতে জাল দিতে হয়। এরপর জাল দেওয়া ওই দুধ মাটি অথবা প্ল¬াষ্টিকের পাত্রে ভরে রাখা হয়। কিছু সময় রাখার পর দই জমতে থাকে। দই তৈরিতে পুরানো দইয়ের বীজের প্রয়োজন হয়।

কার্তিক ঘোষ বলেন, অনেক দই কারখানার মালিক দুধের ক্রিম তুলে নিয়ে সেই দুধ দিয়ে দই বানিয়ে থাকেন। ক্রিম তুলে নেওয়া দইয়ের স্বাদ নেই এবং কার্যকরিতা খুবই কম। এসব অসাধু দই ব্যবসায়িদের জন্য সকলের বদনাম হয়ে থাকে। তিনি বলেন, এখানে বগুড়ার অভিজ্ঞ কারিগর দ্বারা দই তৈয়ারি করা হয়। আমার স্বর্ণা দই কারখানায় কোন প্রকার দুধের ক্রিম উত্তোলন করা হয় না। তাই এই দইয়ের স্বাদ এবং কার্যকরিতা অনেক বেশি। আমার কারখানার দই যদি কেউ ভেজাল প্রমাণিত করতে পারে তাকে নগদ দশ হাজার টাকা পুরষ্কার প্রদান করা হবে। তিনি আরও বলেন, ব্যবসা একটি সম্মানজনক পেশা। খরিদ্দার হচ্ছে লক্ষি তাই তাদের কথা মাথায় রেখে এখানে উন্নত মানের দই তৈরি করা হয়। দই খেলে হজম শক্তি বেড়ে যায়। তিনি আরও বলেন, পৈত্রিক সূত্রে তাদের দইয়ের এই ব্যবসা, এই কারখানায় উৎকৃষ্ট মানের দই তৈরি করা হয়। দির্ঘ ৪০ বছর ধরে তাদের বাপ-দাদা এবং তারা দই তৈরি করে আসছেন। দই এবং ঘি তৈরি করার কারণে তার অনেক পরিচিতি। ঈশ্বরদী ও আশপাশের অনেকেই তাকে এক নামে চিনে এবং জানে। বাজারে কার্তিক ঘোষের দইয়ের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন অনুষ্ঠানের অর্ডার মোতাবেক দই সাপ্ল¬¬াই করা হয় বলে একথা তিনি জানান।