মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, দেশে নারীদের জন্য ’তথ্য আপা’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে ওই প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হবে। এ প্রকল্পের আওতায় কর্মীরা দেশের জেলা, উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ের প্রতিটি ঘরে ঘরে গিয়ে নারীদেরকে কৃষি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন তথ্যের বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা দেবেন। যাতে তারা দেশ ও নিজেদের ভাগ্যোন্নয়নে অগ্রণী ভ’মিকা রাখতে পারে।

তিনি শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ কীটতত্ত্ব সমিতির ১০ম দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওইসব কথা বলেন। গাজীপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওই সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কীটতত্ত্ব সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মো. মাহবুবর রহমান। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাজীপুরের বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মো. শোয়েব হাসান, কীটতত্ত্ব সমিতির উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোনাওয়ার আহমাদ ও জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ড. সৈয়দ নুরুল আলম প্রমূখ। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন ড. দেবাশীষ সরকার।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, বাংলাদেশে কৃষিতে যে পরিমান গবেষনা হওয়া উচিত, কিন্ত তা এখনও হয়নি। আমাদের কৃষি খাত আজ বহুবিধ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। আবাদী জমির পরিমাণ কমে যাওয়া, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, কৃষি উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি ইত্যাদি কৃষির অগ্রগতিকে বাধাগ্রসÍ করছে। প্রতিবছর দেশে ৩০-৫২শতাংশ শস্য কীট-পতঙ্গের আক্রমনে নষ্ট হয়। বিভিন্ন পোকা-মাকড় দমনের জন্য আমাদের কৃষকরা নির্বিচারে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করছেন, যা জীব বৈচিত্র্য ধ্বংসসহ জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এজন্য বিজ্ঞানীদের এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও প্রয়োগ করা উচিত যা আমাদের জনস্বাস্থ্য তথা পরিবেশ রক্ষা পাবে।

অনুষ্ঠানে কীটতাত্ত্বিক গবেষণা ও উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য কীটতত্ত্ববিদ ড. মুহাম্মদ আব্দুল হামিদ মিয়াকে ‘বিইএস স্বর্ণপদক-২০১৭’ দেয়া হয়। এছাড়া বিদেশী ও দেশী ক্যাটাগরিতে চার বিজ্ঞানীকে ‘বেস্ট পিএইচডি থিসিস এ্যাওয়ার্ড-২০১৭’ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ, বিজ্ঞানী ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সম্মেলনের শেষ পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।