বর্তমানে দেশে মোবাইল গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ৫৯ লাখ ৮২ হাজার, যা দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের বাজার মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবসার অনুকূল থাকায় প্রতি বছর ৩ কোটি হ্যান্ডসেট আমদানি করতে হচ্ছে। এতে ৮ হাজার কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।

মঙ্গলবার বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের ১৮তম অধিবেশনের তৃতীয় কার্যদিবসে আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য বজলুল হক হারুনের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী একথা জানান। এর আগে বিকেল সোয়া ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।সংসদে প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোনের হ্যান্ডসেটের বাজার প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। চাহিদা পূরণে করতে বিপুল পরিমাণ মোবাইল সেট আমদানি করতে হয়। যার ফলে প্রতি বছর প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ অর্থ বিদেশে চলে যাচ্ছে।তিনি বলেন, বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়, দেশে সুদক্ষ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন জনবল সৃষ্টি, এখাতে কাক্সিক্ষত বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ, দেশে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, অবৈধ আমদানি বন্ধ এবং দেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য সময়োপযোগী বিনিয়োগের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোনসেট সংযোজন ও উৎপাদনের জন্য যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক নির্ধারণ করে গত ১ জুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এসকেডি পদ্ধতিতে স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট সংযোজন ও উৎপাদনের জন্য যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ এবং সিকেডি পদ্ধতিতে মোবাইল ফোন আমদানির ক্ষেত্রে ১ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রযোজ্য হবে। ফলে শিগগিরই আমদানির পরিবর্তে মোবাইল ফোন হ্যান্ডসেট বিদেশে রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার সুযোগ সৃষ্টি হবে বলেও সংসদে জানান প্রতিমন্ত্রী।তিনি বলেন, এরইমধ্যে ওয়ালটন স্থানীয়ভাবে মোবাইল হ্যান্ডসেট সংযোজন, উৎপাদন, বাজারজাতকরণের অনুমতির জন্য আবেদন করেছে। আবেদনে তারা জানিয়েছে, বছরে ৫০ লাখ মোবাইল হ্যান্ডসেট স্থানীয়ভাবে সংযোজন ও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এছাড়া ‘সিম্ফনি’ ও ‘ওকাপিয়া’ ব্র্যান্ডের হ্যান্ডসেট আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোও স্থানীয়ভাবে মোবাইল হ্যান্ডসেট সংযোজন, উৎপাদন, বাজারজাতকরণের ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে।