যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ৭ কর্মকর্তাসহ ১৬ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অপহরণের পর গুমের অভিযোগে আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শাহিনুর রহমানের আদালতে এ মামলাটি করেন হিরা খাতুন নামে এক মা। মামলাটির তদন্তে পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। মামলার বিবরণে জানা যায়, চলতি বছরের ৫ এপ্রিল সকালে শহরের পৌর পার্কে বেড়াতে যায় হিরা খাতুনের একমাত্র ছেলে সাঈদ ও তার বন্ধু শাওন। এ সময় কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাদের দু’জনকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে থানায় গিয়ে সাঈদ ও তার বন্ধুকে আটকের কারণ জানতে চাইলে তাদের মুক্তি বাবদ দুই লাখ টাকা দাবি করা হয় বলে জানান হিরা খাতুন।

এ ঘটনার দু’দিন পর ৭ এপ্রিল থানায় গিয়ে তিনি জানতে পারেন ছেলে সাঈদ ও শাওন পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে গেছে। এরপর ছেলের সন্ধানে একাধিকবার পুলিশের কাছে গেলে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে জানান তিনি। আদালতে করা মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ঘুষের টাকা না পেয়ে ছেলে সাঈদ ও তার বন্ধু শাওনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে পুলিশ।

তবে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালাউদ্দিন শিকদার বলেন, ‘বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা হয়েছে বলে শুনেছি, যতটুকু জেনেছি এটা একটি ভিত্তিহীন এবং কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছে। পুলিশের ভাবমূর্তি ও একটি কুচক্রি মহল পুলিশকে বেকায়দা ফেলার জন্য এ মামলা করেছেন। আর বিজ্ঞ আদালত এ মামলার তদন্ত বার পিআইবিকে দিয়েছে।’