দেশে প্রথমবারের মতো খনি থেকে পানি উত্তোলন শুরু হবে আগামী বছরের মার্চে। সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নে প্রকল্পটির ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, ঢাকা শহরে বৃহত্তর মিরপুর এলাকায় প্রতিদিন ১৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হবে এ খনিজ জলাধার থেকে। কয়েক বছর ধরে, শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা শহরের অনেক এলাকায় পানি সংকট দেখা দেয়। ওয়াসার দাবি প্রতিবছর পানির স্তর নেমে যাওয়ায় মাটির নিচ থেকে পানি তোলা সম্ভব হয় না।

এ সমস্যা দূর করতে ওয়াসা যখন পানির উৎস নির্বাচন নিয়ে গলদঘর্ম তখনই সন্ধান পাওয়া যায় একটি প্রাকৃতিক জলাধারের। ২০০৬ সালে গবেষকরা সন্ধান পান, হিমালয় থেকে মাটির নিচ দিয়ে বয়ে চলা পানির একটি ধারা রাজধানীর অদূরে সাভারেই তৈরি করেছে একটি সুবিশাল জলাধার। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২০০৯ সালে বাংলাদেশ ও কোরিয়া সরকারের যৌথ অর্থায়নে ৫৭৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পানি তোলার জন্য প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

এ বিষয়ে ঢাকা ওয়াসা’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান বলেন, এই প্রকল্প নিয়ে ৩০ বছরের পরিকল্পনা করেছি আমরা। এই উৎস থেকে আমরা ৬০ শতাংশ পানি নেয়া হবে, বাকি ৪০ শতাংশ উত্তোলন করা হবে না। এলাকাবাসীর সুবিধার্থে এখানে আমরা কিছু নলকূপও স্থাপন করছি। ওয়াসা জানায়, মোট ৪২ কিলোমিটারের মধ্যে এরই মধ্যে ৩৯ কিলোমিটার পাইপ বসানো হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাড়ানো হবে সরবরাহের পরিধি। নদী বা অন্য মুক্ত জলাশয় এবং গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি তোলা হলেও এ ধরনের প্রাকৃতিক উৎস থেকে পানি সংগ্রহ করা হবে এবারই প্রথম।

বিষয়টি নিয়ে তেঁতুলঝোড়া-ভাকুর্তা কূপ নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, এখান থেকে পানি তুলে প্রতিদিন ঢাকায় ১৫ কোটি লিটার পানি সরবরাহ করা হবে। আমরা আশা করছি, আগামী বছরের মার্চের মধ্যেই আমরা মিরপুর পর্যন্ত এই প্রকল্পের পানি পৌঁছাতে পারব। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রকল্প ১-এ তোলা পানি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত মান অনুযায়ী সরবরাহ করতে ল্যাবরেটরিসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণও শেষ পর্যায়ে।

Somoynews