ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভিন লুইস, কাইরন পোলার্ড ও পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদির দুর্দান্ত নৈপুণ্যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টুয়েন্টি টুয়েন্টি ক্রিকেটের পঞ্চম আসরের ১৯তম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটস ৬৮ রানে হারালো গত আসরের রানার-আপ রাজশাহী কিংসকে। ব্যাট হাতে লুইস ৩৮ বলে ৬৫, পোলার্ড ২৫ বলে অপরাজিত ৫২ রান করেন। ব্যাট হাতে ভালো কিছু করতে না পারলেও, বল হাতে ৪ উইকেট নিয়ে ঢাকার জয়ে ভূমিকা রাখেন আফ্রিদি। ৬ খেলায় ৪ জয় ১ হারে ৯ পয়েন্ট নিয়ে এককভাবে টেবিলের শীর্ষে উঠলো ঢাকা। সমানসংখ্যক ম্যাচে ২ জয় ও ৪ হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে থাকলো রাজশাহী।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট হাতে নামে ঢাকা ডায়নামাইটস। ইনিংসের শুরু করেছিলেন দুই মারমুখী খেলোয়াড় ওয়েস্ট ইন্ডিজের এভিন লুইস ও পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি। লুইসের কল্যাণেই শুরুটা ভালো হয় ঢাকার। প্রথম ৪ ওভারে ১৭ বল মোকাবেলা করে ৩৮ রান তুলে ফেলেন তিনি। অন্যপ্রান্তে ৭ বল খেলার সুযোগ পান আফ্রিদি। এর মধ্যে ৩টি চারে ১৫ রান তুলেন তিনি। তবে পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে মেহেদি হাসান মিরাজের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান আফ্রিদি।এরপর ক্রিজে লুইসের সঙ্গী হন জহিরুল ইসলাম। মারমুখী মেজাজেই শুরু করেছিলেন তিনি। ১টি করে চার ও ছক্কায় ভালো কিছু করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন জহিরুল। কিন্তু মিরাজের দ্বিতীয় শিকার হয়ে থেমে যান তিনি। ৬ বলে ১৩ রান করেন জহিরুল।

চার নম্বরে নামা নাদিফ চৌধুরির ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৬ রান। তবে সতীর্থদের যাওয়ার মাঝেই এবারের আসরে দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন লুইস। দলীয় ৯৯ রানে বিদায় নেন লুইস। ১০টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৮ বলে ৬৫ রান করেন এই বাঁ-হাতি।পরের দিকে শ্রীলংকার কুমার সাঙ্গাকারা ২২ বলে ২৮ ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ১১ বলে ১১ রান করে ফিরলেও, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইরন পোলার্ডের ২৫ বলের ঝড়ে ৭ উইকেটে ২০১ রানের বড় সংগ্রহ পায় ঢাকা। চলতি আসরে দ্বিতীয়বারের মত ঢাকার দলীয় স্কোর ২শ স্পর্শ করে। ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় অপরাজিত ৫২ রান করেন পোলার্ড। রাজশাহীর হোসেন আলি ৩টি ও মিরাজ ২টি উইকেট নেন।জয়ের জন্য ২০২ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে রাজশাহী। দলের কোন ব্যাটসম্যানই ঢাকার বোলারদের সামনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেননি। আফ্রিদি-সাকিবের ঘুুর্ণির সাথে আবু হায়দারের পেসে কুপোকাত হয়ে পড়ে রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা।আগের ম্যাচের হিরো তরুন জাকির হাসান কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার প্রতিরোধ শুধুমাত্র রাজশাহীর হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। ৫টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৩ বলে সর্বোচচ ৩৬ রান করেন জাকির। এছাড়া অধিনায়ক ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন সামি ১৯ ও ওপেনার মোমিনুল হক ১৬ রান করেন। ১০ বল বাকী থাকতেই ১৩৩ রানে গুটিয়ে যায় রাজশাহী।ঢাকার আফ্রিদি ২৬ রানে ৪, আবু হায়দার ১১ রানে ৩ ও সাকিব ২২ রানে ২ উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হয়েছেন ঢাকার লুইস।