বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য তারেক রহমানের বিকল্প নেই উল্লেখ করে এমাজউদ্দিন আহমেদ বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যেভাবে দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ৮০ হাজার গ্রামকে বেছে নিয়েছিলেন ঠিক একই ভাবে জিয়াউর রহমান কে ধারণ করেন তারেক রহমান। বিএনপির সিনিয়ন ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩ তম জন্মদিন উপলক্ষে ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার ( এন. আর. সি) কর্তৃক আয়োজিত ‘জননেতা’ শিরোনামে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
তারেক রহমানের রাজনৈতিক কর্মকান্ডের আলোচনা করে তিনি বলেন, বাবার মত তিনি সারাদেশে প্রতিনিধি সম্মেলনের মধ্য দিয়ে চষে বেরিয়েছেন। যার ফলে সত্যিই তিনি জননেতার রূপ ধারণ করেছেন।

তিনি তারেক রহমানের জন্মদিনের উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়ে শতায়ু কামনা করে বলেন, তারেক রহমানের জন্মদিন এত ছোট পরিসওে নয়, আরো বড় পরিসরে পালন করতে হবে। আর শুধু প্রদর্শনী নয় বিভিন্ন প্রকাশনার মাধ্যমে তাকে উপস্থাপনা করতে হবে। আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করায় এসময় তিনি ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার ( এন. আর. সি) কে ধন্যবাদ জানান।

এদিকে, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, তারেক রহমান বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরির্বতন এনেছেন। এখন আর ঢাকায় বসে গ্রামের রাজনীতি করা যাবে না। এখন রাজনীতি করতে হলে প্রত্যন্ত অঞ্চলে তার মতো ছুটে বেড়াতে হবে, মানুষের পাশে দাড়াতে হবে। এসময় তিনি পরবর্তী জন্মদিন তারেক রহমানকে সাথে নিয়ে পালন করবো বলে আশা ব্যক্ত করেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল-নোমান বলেন, জাতির এই সংকটে আজ তারেক রহমানের নেতৃত্বের বিকল্প নেই। দেশ রক্ষার্থে দেশনায়ক তারেক রহমানের অনুপস্থিতি আজ জাতিকে ধ্বংসের দাড়প্রান্তে নিয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিবাদি এই সরকারের রোষানলের শিকার জননেতা তারেক রহমানের এবারের জন্মদিন এক সাথে পালন করতে না পারলেও আগামী বছরের জন্মদিন এক সাথে পালন করবো।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানুল্লাহ আমান বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে দেশ ও জাতি আজ জননেতা তারেক রহমানের অভাব অনুভব করছেন। তিনি আরো বলেন, তারেক রহমান এই অন্ধকারচ্ছন্ন জাতির জন্য আলোর বর্তিকা নিয়ে আসবেন, আমরা সেই দিনের প্রত্যাশা করছি। সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশের এই পরিস্থিতিতে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হযে একটি গনতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটিয়ে তারেক রহমানকে ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য আমাদের এখনই প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ( ঢাকা বিভাগ) এ্যাড, আব্দুস সালাম আজাদ, জাতীয় নির্ববাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার টি.এস আইয়ুব প্রমূখ।

এসময় সভাপতির বক্ত্যবে আলোকচিত্র সাংবাদিক বাবুল তালুকদার বলেন, শত বাধা ও প্রতিকুলতা উপেক্ষা করে প্রতি বছর প্রদর্শনীটির আয়োজন করে আসছি। এ প্রদর্শনীতে তারেক রহমানের বনার্ঢ্য রাজনীতির কর্মময় জীবনের উপর ১৬০টি ছবি স্থান পেয়েছে। তিনি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।