জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষন ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড’ ইন্টারন্যাশনাল রেজিষ্টার-এ অন্তর্ভূক্ত হওয়ায় শনিবার সকালে পাবনায় স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ আনন্দ শোভাযাত্রা বের করা হয়। এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সন্মুখে ‘দূর্জয় পাবনা’ স্মৃতিস্তম্ভে জেলা প্রশাসনসহ সরকারি-বেসরকারিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।

জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর, সরকারি বেসরকারি স্কুল কলেজ, মাদরাসা, ব্যাংক-বীমা, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ সর্বস্তরের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক শোভাযাত্রা বের করা হয়। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, প্রশাসক রেখা রানী বালো ও পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম’র নেতৃত্বে দূর্জয় পাবনা স্মৃতিস্তম্ভ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বীরমুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বকুল পৌর মুক্ত মাঠে গিয়ে শেষ করা হয়।
টাউন হল মাঠে জেলা প্রশাসক রেকা রানীর বালো‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল, পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম, জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও প্রেসক্লাব সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশারোফ হোসেন, এড. বেলায়েত আলী বিল্লু, সাংবাদিক আব্দুল মতীন খান, আওয়ামীলীগ নেতা চন্দন কৃমার চক্রবর্তীসহ জনপ্রতিনিধি, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, স্বাস্থ্য দপ্তর, দুদক, খাদ্য দপ্তর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন, আইনজীবি সংগঠন, ব্যবসায়ী সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।

আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করা জেলা সদরের সরকারি বেসরকারি অফিস-আদালতসহ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অধিকাংশদের মুখে ছিল আনন্দের উচ্ছ্বাস। তাদের অভিমত, পাবনায় আজকের এই আনন্দ শোভাযাত্রা ছিল এ জেলায় স্মরণকালের শ্রেষ্ঠ শোভাযাত্রা। নানা শ্রেণিপেশার মানুষের বের করা এই আনন্দ শোভাযাত্রা এক সম্প্রীতির মিলন মেলায় পরিণত হয়। পরে জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।