চিটাগংয়ের ইনিংসে তা-ব চালিয়েছিলেন এনামুল হক বিজয়। তাতে ১৮৮ রানের বিশাল লক্ষ্য পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তাতে কী? প্রতিপক্ষ দলের এভিন লুইস ছিলেন আরও আগ্রাসী। তার ঝড়েই শেষ পর্যন্ত চিটাগংকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা ডায়নামাইটস। এতে ৯ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট পেয়ে শীর্ষে বসলো সাকিব আল হাসানের দল। আর তলানিতেই থাকলো চিটাগং ভাইকিংস।

১৮৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মাত্র ১ রানে প্রথম উইকেটের পতন ঘটে ঢাকার। শহীদ আফ্রিদিকে রনকির ক্যাচ বানান তাসকিন। তাতেও অবশ্য দমে যায়নি ঢাকা। ওপেনার এভিন লুইস তা-বলীলা শুরু করলে ১২ ওভারে ১১৯ রানের সংগ্রহ পায় তারা।লুইস ঝড়ো গতিতে খেলে ৩১ বলে তুলে ফেলেছিলেন ৭৫ রান। যাতে ছিল ৩টি চার ও ৯টি ছক্কা। আরও আগ্রাসী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু এই স্কোরেই তাকে তালুবন্দি করান আজকের একাদশে ফেরা এমরিট।এরপর তার সঙ্গে জুটি বাঁধা ডেনলিও ফেরেন তানভীর হায়দারের বলে। তখন অবশ্য এক প্রকার স্বস্তি ফিরেছিল চিটাগং শিবিরে। সাকিব আল হাসান ও ডেলপোর্ট ফের পিটিয়ে খেলা শুরু করলে ১৮.৫ ওভারে জয় পায় ঢাকা। সাকিব ১৭ বলে ব্যাট করছিলেন ২২ রানে। আর ২৪ বলে ৪৩ রানে ব্যাট করছিলেন ডেলপোর্ট। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ৩টি ছয়। ম্যাচসেরা হয়েছেন এভিন লুইস।

এর আগে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় চিটাগং। ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষে খেলতে নেমে একটি পরিবর্তন আনে তারা। নতুন চুক্তি করা রায়াড এমরিট ফেরেন একাদশে । উল্টো দিকে চারটি পরিবর্তন আনে ঢাকা ডায়নামাইটস। বাদ পড়েছেন কিয়েরন পোলার্ড, মোহাম্মদ আমির, মেহেদী মারুফ ও নাদিফ চৌধুরী। ঢুকেছেন মোহাম্মদ শহীদ, মোহাম্মদ সাদ্দাম, ক্যামেরন ডেলপোর্ট ও জো ডেনলি।এই পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামা চট্টগ্রামের শুরুটা অবশ্য আহামরি ছিল না। সৌম্য সরকার ওপেনিংয়ে নামলেও ১ রানে বোল্ড হন সুনিল নারিনের বলে। পরে ঝড়ো গতিতে খেলে ইনিংস বড় করেন লুক রনকি ও এনামুল হক বিজয়। সাকিবের বলে শহীদ আফ্রিদির কাছে ধরা পড়ার আগে ৪০ বলে ৫৯ রান করেন ওপেনার ও অধিনায়ক লুক রনকি। যেখানে ছিল ৪টি চার ও ৪টি ছয়।ততক্ষণে দলীয় স্কোর অবশ্য ২ উইকেটে ১২৪ রান। রনকির বিদায়ের পরও ঝড় অব্যাহত রাখেন এনামুল হক। ফেরার আগ পর্যন্ত ৩টি চার ৬টি ছয় মারেন এনামুল। তার বিধ্বংসী ইনিংস এসে শেষ হয় ৭৩ রানে। এনামুলকে ডেলপোর্টের তালুবন্দি করেন আবু হায়দার।এর আগে ভ্যান জিল ২ রানে রান আউটে হয়ে বিদায় নেন। শেষ দিকে নাজিবুল্লাহ জাদরান ও সিকান্দার রাজার মিনি ঝড়ে ১৮৭ রানের পুঁজি পায় চিটাগং। সিকান্দার রাজা ২৬ রানে ক্রিজে থাকলেও ১৬ রানে নাজিবুল্লাহকে ফেরান মোহাম্মদ শহীদ।ঢাকার হয়ে একটি করে উইকেট নেন সাকিব, নারিন, আবু হায়দার ও মোহাম্মদ শহীদ।