প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে পাবনায় যাচ্ছেন। পাবনার রূপপুরে পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের উৎপাদন কেন্দ্রের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন তিনি। তার আগমনে নবরূপে সাজানো হয়েছে প্রকল্প এলাকাসহ গোটা ঈশ্বরদী। আনন্দের বন্যা বইছে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের মধ্যে।
পাবনার দাশুরিয়া মোড় থেকে রূপপুর পাকার মোড় হয়ে লালন শাহ সেতু দিকে ও বিমানবন্দর থেকে প্রকল্প এলাকা পযর্ন্ত ১৩ কিলোমিটার রাস্তায় তোরণ আর বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে। কাজের ব্যস্ততা বেড়েছে সকল সরকারি বিভাগের কর্মকর্তাদের। প্রকল্পে যাওয়ার আশে পাশের সকল সড়কে সংস্কার কাজ চলছে দিনরাত। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরের কর্মকর্তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন উদ্ধোধনী অনুষ্ঠান সফল করার জন্য। রূপপুরে পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের উৎপাদন কেন্দ্রের এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ঘিরে নিউক্লিয়ার সংক্রান্ত বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করা হয়েছে। নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার বলয়ে প্রধানমন্ত্রী রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম কংক্রিট ঢালাই কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করবেন।

নিরাপত্তার পাশাপাশি জেলা প্রশাসনসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী রয়েছেন তৎপর। প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে প্রকল্পের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান আরএনপিপি‘র প্রকল্প পরিচালক ড. শওকত আকবর। এ দিকে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা সর্ম্পকে পাবনার পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির (পিপিএম) জানান, কয়েক স্তরের নিরাপত্তা চাদরে ঢেঁকে ফেলা হয়েছে গোটা পাবনা। গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে এবং ব্লক রেড চেক পোষ্ট জোড়দার করা হয়েছে। রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করা হবে। এর মধ্যে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে প্র্রথম ইউনিট ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে আসবে। দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আসবে পরের বছর ২০২৩ সালে। ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের আবাসনসহ সকল প্রকার অবকাঠামো নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এরপর পাবনার রূপপুরে আলোতে আলোকিত হবে বাংলাদেশ।

দেশের সর্ববৃহৎ রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে ৯১ হাজার ৪’শ কোটি টাকা। শুধুমাত্র সুদ বাবদ রাশিয়াকে ফেরত দিতে হবে ৬৯ হাজার ২৩২ কোটি টাকা। আগামি বৃহস্পতিবার প্রকল্পের দ্বিতীয় ফেজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রতিনিধি এবং রোসাটম-এর পরিচালক আলেক্স জান্ডার নিখাচেভসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।