ময়মনসিংহ শহরের মধ্যে একটি এলাকায় ‘ছোটখাটো অস্ত্র তৈরির গোপান কারখানার’ সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র, গুলি ও অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জাম। তবে এর সঙ্গে জঙ্গি সংগঠনের কোনো সম্পৃক্ততা আছে কি না, সে সম্পর্কে নিশ্চিত নয় র‍্যাব। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে শহরের নাসিরাবাদ কলেজসংলগ্ন মিলনবাগ এলাকার একটি বাড়িতে এ অভিযান চালায় র‍্যাব-১৪।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সোহেল (২২) ও আরমান (২৫)। তাঁদের সম্পর্কে আর কিছু জানায়নি র‍্যাব।

র‍্যাব-১৪-এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শরীফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দাবি করেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। এখানে অত্যন্ত সুরক্ষিত একটি ঘরের মধ্যে অস্ত্র বানানো হচ্ছিল। অনেক সরু গলির ভেতর এই বাড়ি অবস্থিত। বাড়িটির মালিক মইনুদ্দিন। একে অস্ত্র তৈরির একটি ছোটখাটো কারখানা বলা যায়।’

‘কক্ষের চৌকির ওপর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চারটি পিস্তল, সাতটি গুলি, চারটি ম্যাগাজিন, আটটি উন্নত চাকু, চারটি হাতুড়ি, একটি চায়নিজ কুড়াল, তিনটি প্লাস, দুটি ড্রিল মেশিন, কাটার, শাইন, একটি বাইশ এবং অস্ত্র তৈরির বিপুল সরঞ্জাম। অভিযান টের পেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় দুজনকে আটক করা হয়। বাড়ির মালিকের ছেলে নুরুদ্দিন পালিয়ে গেছে।’
জঙ্গি সম্পৃক্ততার ব্যাপারে র‍্যাব কর্মকর্তা আরো জানান, আসলে এখন পর্যন্ত এ রকম কিছু জানা যায়নি। এটি তদন্তের বিষয়। আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে হয়তো অনেক তথ্য পাওয়া যাবে। এর সঙ্গে জড়িত অন্যদের ধরতেও অভিযান চলছে।’

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা মইনুদ্দিনের বাসা ভাড়া নিয়ে অস্ত্র তৈরি ও বিক্রয়ের কথা স্বীকার করেছে বলে র‍্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান।