সৌদি আরবের সশস্ত্র বাহিনী দাবি করেছে, তারা ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের নিক্ষিপ্ত আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে। দ্বিতীয় এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া হয়েছে সৌদির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শহর খামিস মুসাইত শহর লক্ষ্য করে। বৃহস্পতিবার খামিস মুসাইতের কাছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূপাতিত করা হয়। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) রাজকীয় বিমান বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল তুর্কি আল মালিকির বরাত দিয়ে সৌদির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এসপিএ এ খবর দিয়েছে।

গত ৪ নভেম্বর রাতে রিয়াদের বাদশাহ খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে হুথিরা। সেটিও ঠেকিয়ে দেওয়ার দাবি করে সৌদির বাহিনী।কর্নেল তুর্কি আল মালিকি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি খামিস মুসাইত লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিল। তবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাতের আগেই সৌদির সশস্ত্র বাহিনী এটিকে প্রতিহত করে ধ্বংস করে দেয়।এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপকে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক উল্লেখ করে মালিকি বলেন, হুথিদের মতো সন্ত্রাসীদের হাতে এ ধরনের অস্ত্র থাকাটা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার প্রতি হুমকি। অবশ্য এর আগে হুথিদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাদের নিক্ষিপ্ত একটি ক্ষেপণাস্ত্র সৌদি আরবের ভেতরে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। ‘স্থানীয়ভাবে নির্মিত’ এই ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষাকে ‘নতুন শুরু বললেও ঠিক কোথায় আঘাত করেছে তা জানায়নি হুথিরা।আরব বসন্তের জেরে উত্তাল হয়ে পড়া ইয়েমেনে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব থেকে যুদ্ধে জড়িয়ে যায় সুন্নিপন্থি প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বু মনুসর হাদীর অনুসারী ও শিয়াপন্থি হুথিরা। এই যুদ্ধে সুন্নিদের পক্ষে লড়ছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন উপসাগরীয় জোট। আর শিয়াদের সমর্থন দিয়ে আসছে ইরান ও হেজবুল্লাহ। ৪ নভেম্বর হুথিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে রিয়াদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, এই ক্ষেপণাস্ত্র তেহরানেরই সরবরাহকৃত। আর ইরানের পক্ষ থেকে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলা হয়, নিজেদের পরাজয় ঢাকতে এই দোষারোপের খেলায় মেতেছে সৌদি। নতুন করে এই ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের খবর দুই আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়াবে বলে মনে করছে সংবাদমাধ্যম।