এক শহর মানুষকে কাঁদিয়ে শনিবার দুপুরে ঢাকা আসলেন নগর পিতা আনিসুল হক, আসলেন চিরবিদায় নিতে। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর যান্ত্রিক এ শহরের মানুষকে নতুন করে স্বপ্ন দেখানো আনিসুল সকলকে কাঁদিয়ে চিরবিদায় নিয়ে বনানী কবরস্থানে মায়ের পাশে ছেলের কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছেন এদিন বিকেলেই। বনানী কবরস্থানে ছোট ছেলে মোহাম্মদ শারাফুল হকের কবরে শায়িত হয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক। ২০০২ সালে মাত্র ৬ বছর বয়সে মৃত্যু হয় শারাফুল হকের । শনিবার বাদ আসর আর্মি স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে বিকাল ৫টার দিকে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন তার পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, রাজনৈতিক, সামরিক-বেসামরিক ব্যক্তিবর্গ এবং ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন উত্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারি। আগামী ৬ ডিসেম্বর গুলশানের আজাদ মসজিদে বাদ আসর আনিসুল হকের কুলখানি অনুষ্ঠিত হবে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

এর আগে আনিসুল হকের শেষ নামাজের জানাজা পড়ানো হয়। জানাজায় আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অসংখ্য মানুষ অংশগ্রহণ করেন। দুপুর ২:৪৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের বনানীর বাস ভবনে যান। প্রধানমন্ত্রী সেখানে গেলে এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়। প্রধানমন্ত্রী মরহুম মেয়রের মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আনিসুল হকের স্ত্রী, পুত্র, কন্যারসহ মরহুমের পরিবারের সদস্যরা এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে প্রধানমন্ত্রী মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। এরপর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একান্তে বসে কথা বলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ঢকি উত্তর সিটির মেয়র। আজ শনিবার দুপুর ১:০০টায় বাংলাদেশ বিমান এয়ালায়েন্সের ০০২ বিমানের একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ ঢাকা আনা হয়। পরের দিন শুক্রবার বাদ জুমা আনিসুল হকের প্রথম জানাজা লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক সেন্ট্রাল মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়।