উইকেটের দোষ দিয়ে আদৌ কোনো লাভ কি আছে? সম্ভবত না। ৬৭ রান তুলতে যেখানে ১০ উইকেট হারাল চিটাগং, সেখানো কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেল নাসির বাহিনী।দুই ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার (৩২*) এবং উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান (৩৬*) মিলে হেসেখেলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে গেলেন। ১০ উইকেটে হারের লজ্জা পেল শেষ চারের লড়াই থেকে আগেই ছিটকে যাওয়া চিটাগং ভাইকিংস।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ রবিবার দিনের প্রথম ম্যাচে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১২ ওভারে মাত্র ৬৭ রানে অল-আউট হয়ে যায় চিটাগং ভাইকিংস। শুরু থেকেই ব্যাটিংয়ে ধস নামে তাদের। নাসিরের করা প্রথম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা মেরে অন্য কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন লুক রনচি। কিন্তু পরের বলেই বোল্ড হয়ে আশার পরিসমাপ্তি ঘটে। ওই ওভারের শেষ বলে নাসিরের দ্বিতীয় শিকার হন ওপেনার সৌম্য সরকার (০)।সিলেটের তৃতীয় সাফল্যেও অবদান অধিনায়ক নাসিরের। লুইস রেইসকে (১২) এলবিডাব্লিউ করে চিটাগংয়ের ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেন তিনি।চিটাগংয়ের চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটান শরীফুল্লাহ। তার বলে সাব্বিরের তালুবন্দি হন বিধ্বংসী সিকান্দার রাজা (১)। তানবীর হায়দারকে (৫) এলবিডাব্লিউ করে চতুর্থ শিকার ধরেন নাসির। ৩০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পড়ে যায় রনচির দল।অন্যদিকে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠছিলেন নাসির। ব্যাটসম্যানদের কাছে যেন দুর্বোধ্য হয়ে উঠছিলেন তিনি। সিলেট অধিনায়কের পঞ্চম শিকার হন ভ্যান জাইল (১১)। শরিফুল্লার দ্বিতীয় শিকার হয়ে ইরফান শুকুর (১৫) ফিরলে সপ্তম উইকেট হারায় চিটাগং। সিলেটকে অষ্টম সাফল্য এনে দেন নাবিল সামাদ। তার বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান এমরিত (২)। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৬৭ রানে অল-আউট হয়ে যায় চিটাগং ভাইকিংস!