নওগাঁর পতœীতলা উপজেলা সদর নজিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান বারিক (২৫) এর বিরুদ্ধে রাতের অন্ধকারে সরকারী গাছ কাটার অভিযোগ ওঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যেরর সৃষ্টি হয়েছে ও আওয়ামীলীগ দলীয় নেতারা নানা প্রশ্নবিদ্ধের সম্মুখীন হচ্ছেন।অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই ছাত্রলীগ নেতার বাড়ি নজিপুর ইউনিয়নের নাদৌড় গ্রামে ও তার পিতার নাম মো:মোজাফফর রহমান।গত ৩০ নভেম্বর দিবাগত রাতে পতœীতলা উপজেলার নজিপুর ইউনিয়নের নাদৌড়-বেংডোম বাইপাস রাস্তার নাদৌড় মোড়ের একটি ইট ভাটা সংলগ্ন রাস্তার পাশের ৫টি আকাশমণি সরকারি গাছ কেটে বিক্রয়ের জন্য নজিপুর (ঠুকনিপাড়া মোড়) নিয়ে গেলে গোপন সংবাদে গাছের গুড়ি ও ডাল গুলো আটকে দেয় জনতা। যাহার আনুমানিক মূল্য ৩০ হাজার টাকা।নজিপুর কাঠ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহীনূর আলম শাহীন জানান, কাঠ বিক্রয়ের জন্য এসে চোরাই কাঠ এনেছেন বলে অভিযোগ থাকায় বর্তমানে কাঠ গুলো আমার হেফাজতে রয়েছে। শুনেছি গাছের কাঠ গুলো নজিপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি বারিক বিক্রয়ের জন্য চেষ্টা করেন।সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গাছের ছাঁট ডালপালা গুলো ফেলে কান্ড ও গুল গুলো নিয়ে যায়। নাদৌড় গ্রামের একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে জানান, এই ছাত্রলীগ নেতা বারিকের বিরুদ্ধে এলাকায় বাঁশ কাটা, ধর্মের ষাঁড় চুরি, ছাগল ও হাস-মুরগি, গাছের ফল, পুকুরের মাছ চুরির মত ঘটনাসহ নানা অভিযোগের পাহাড় জমা হয়েছে। সর্বশেষ সরকারি সড়কের গাছ কাটার অভিযোগে নতুন মাত্রা যোগ হয়।অভিযোগে তারা আরো জানায়, ছাত্রলীগ নেতা বারিক নিজে মদ্যপান করেন ও এলাকায় মাদকসেবী মিনি ক্যাডার বাহিনী তৈরি করেছেন। যার নেতৃত্বে ওইসব জঘৃণ্যতম অপরাধ দিনের পর দিন ঘটে চলছে। মাদকের ক্রয়ের জন্যই তারা চুরির মত কাজে লিপ্ত হচ্ছেন।ওই সড়কের গাছ গুলোর ইজারা নিয়েছেন একই গ্রামের মিজানুর রহমান বকুল পতœীতলা থানায় অভিযোগ দায়েরের জন্য পহেলা ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গেলে নজিপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাদেক উদ্দিন বিষয়টি দেখবেন ও মিমাংসা করার কথা আশ্বাস দেন ও বিষয়টি কৌশলে ধামা-চাপা দেওয়ার প্রচেষ্টার সময় ক্ষেপন করেন।এ বিষয়ে জানতে ইউপি চেয়ারম্যান সাদেক উদ্দিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগেরর চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আব্দুল আহাদ জানান, ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্নকারী নেতা বারিকের বিরুদ্ধে আইনত শাস্তি হওয়া জরুরি ও তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রমাণিত হলে দল থেকে বহিস্কার করবেন দলীয় সিদ্ধান্তের ভিত্তিতেই।উপজেলা আওয়ামীলীগের দফতর সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য আবুল কালাম আজাদ অরুণ এবং নজিপুর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি শহিদুল আলম বেন্টু, বিষয়টি স্থানীয় এমপি ও জাতীয় সংসদেও হুইপ আলহাজ¦ মোঃ শহীদুজ্জামান সরকারকে অবগত করান ও ওই ছাত্রলীগ নেতা বারিককে প্রশাসনিক আইনত শাস্তির সুপারিশ করেন।পরে ২ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় উপজেলা আওয়ামীলীগ দলীয় কার্যালয়ে ওই সড়কের ইজারাদার মিজানুর রহমান বকুল সশরীরে হুইপসহ উপজেলা কেন্দ্রীয় নেতাদের ঘটনাটি মৌখিক ভাবে জানালে, তারা বিষয়টি নজরে আছে ও অবগত বলে জানান। হুইপ বলেন, যেহেতু, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আদালতে বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। সেহেতু, উনারা বিচারটি না করলে আমরা দেখব বলে সাফ জানান।তবে, পরে শোনা গেছে যে, দলীয় নেতারা ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে আইনত সাজার ব্যবস্থা গ্রহণের পক্ষে থানা পুলিশকে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ওই সড়কের ইজারাদার মিজানুর রহমান এই প্রতিবেদককে ৩ ডিসেম্বরে জানান, সরকারি গাছ কাটা ও গাছের কাঠ বিক্রয়কালে অভিযোগ থাকায় ধরা পড়েছেন। এতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা হওয়া উচিৎ। তিনি আরো জানান, ওই ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির অত্যাচারে বর্তমানে এলাকার ভাল ছেলেরা বিপথগামী হচ্ছেন। নিরহ গ্রামবাসীরা তার কুকর্মে অতিষ্ঠ।