সড়ক ও জনপদের (সওজ) আন্তঃজেলা বাইপাস সড়কের দুইধারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানে বাধাদান ও সওজের সার্ভেয়ারের উপর হামলার চেষ্টার অভিযোগে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও তার তিন ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার মধ্যরাতে সওজের ঢাকা অঞ্চলের “স্টেট এন্ড ল” বিভাগে কর্মরত সার্ভেয়ার সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে পাটগ্রাম থানায় এ মামলা দায়ের করেন। এর আগে সোমবার বিকেলে উপজেলার বাইপাস সড়কের আব্দুল আজিজের বাড়ীর সামনে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযানের সময় এ ঘটনাটি ঘটে।

মামলার আসামীরা হলেন- উপজেলার সরকারী কলেজ মোড় এলাকার মৃত আব্দুল জ্বব্বারের বড় ছেলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম, মেঝ ছেলে ওয়াজেদুল ইসলাম, সেজো ছেলে জাহেদুল ইসলাম ও ছোট ছেলে সাদেকুল ইসলাম।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সোমবার বিকালে সওজের রংপুর জোনের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা ঢাকা বিভাগে কর্মরত সওজের এস্টেট এন্ড আইন কর্মকর্তা (উপসচিব) মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে উপজেলার সরকারী কলেজ গেট থেকে আন্তঃজেলা বাইপাস সড়কের দুইধারে অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় বাইপাস সড়কের আব্দুল আজিজের বাড়ির সামনে আসামীরা এসে উচ্ছেদে অভিযান কাজে বাধা সৃষ্টি করে। এক পর্যায়ে সওজের সার্ভেয়ার সাইফুল ইসলামের উপর হামলার চেষ্টাও চালায় এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় বলেও মামলার বিবরণে উল্লেখ রয়েছে।

এ উচ্ছেদ অভিযানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর কুতুবুল আলম, সওজের লালমনিরহাট নির্বাহী প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (বি-সার্কেল) হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও উপজেলা পৌরসভার মেয়র শমসের আলী উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম জানান, অনেকের বাড়ী-ঘর ভেঙে দিয়েছে সওজের লোকজন। সেখানে কারা কাকে হামলা করেছে সেটা তার অজানা। এছাড়া তাকে ও তার তিন ভাইকে হয়রানী করার জন্য একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে এ মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। বিষয়টি আইনগতভাবে মোকাবেলা করা হবে বলেও জানান তিনি।

পাটগ্রাম থানা ভারপ্রাপ্ত ককর্মকর্তা(ওসি) অবনি শংকর কর মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর কুতুবুল আলম বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।