মুক্তিযুদ্ধের সময় ৬ ডিসেম্বর প্রথম শত্রুমুক্ত হয় যশোর জেলা। ময়মনসিংহ, সুনামগঞ্জ রণাঙ্গনেও পাকিস্তানী সৈন্যদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল যুদ্ধ হয় সেসময়। পিছু হটে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে ধরাশায়ী পাকিস্তানী বাহিনী। কর্নেল জাফর ইমামের নেতৃত্বে এদিন ফেনী জেলাও শত্রুমুক্ত হয়।

মার্কিন কবি অ্যালেন গিন্সবার্গ ১৯৭১ সালের শেষ দিকে কলকাতায় বেড়াতে এসেছিলেন। কলকাতা থেকে কবি বন্ধু সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে তিনি আসেন যশোরে। সেপ্টেম্বরের ওই সময়টিতে কলকাতা থেকে যশোর আসার পথে রচনা করেন সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড। ওই কবিতায় লাখো বাঙ্গালীর কলকাতা অভিমুখে ছুটে চলা, রাস্তায় পড়ে থাকা মরদেহ ও কলকাতার শরণার্থী শিবিরগুলোর দুঃখ দুর্দশার চিত্র ফুটে উঠে। সেই যশোর জেলাকেই প্রথম শত্রুমুক্ত করে মিত্রবাহিনী।

মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল আক্রমণের মুখে যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে ৬ ডিসেম্বর ভোর হওয়ার আগেই পাকিস্তানী বাহিনী পালিয়ে যায়। যশোর শত্রুমুক্ত হওয়ার পর একে একে অন্য জেলাগুলোও শত্রুমুক্ত হতে শুরু করে। যশোর ক্যান্টনমেন্টসহ আশপাশের বেশ কয়েকটি এলাকায় এখনো মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির নিদর্শন পাওয়া যায়। শহরেই আছে চাচড়া স্মৃতিসৌধ। এই এলাকার আশপাশে নানা সময়ে পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্মুখ যুদ্ধ হয়। যশোর শত্রুমুক্ত হওয়ার পর ১১ ডিসেম্বর এ মাঠেই স্বাধীন কোন জেলায় প্রথম জনসভা করেন জাতীয় চার নেতা।