বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা বাতিল প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রায় পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আলতাফ হোসেনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। রায়ের পর আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, ‘মামলা বাতিলে রুল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে চার সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন। হাইকোর্টের এ রায়ের ফলে মামলা চলতেও আর বাধা নেই।’

একই মামলায় বৈধতার প্রশ্নে চলতি বছরের ২২ মে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সেনা সমর্থিত সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তাঁর মন্ত্রিসভার ১০ সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করা হয়।

চীনা প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম অব চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতির অভিযোগ আনা হয় এ মামলায়। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে দুদক।

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রম ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯-এ চলছে। খালেদা জিয়া, আলতাফ হোসেন চৌধুরী ছাড়াও ওই মামলায় আসামিরা হলেন—মতিউর রহমান নিজামী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ (মৃত্যুদণ্ড কার্যকর), এম সাইফুর রহমান (মৃত), আবদুল মান্নান ভূঁইয়া (মৃত), ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, এম কে আনোয়ার (মৃত), এম শামসুল ইসলাম (মৃত), ব্যারিস্টার আমিনুল হক, এ কে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান এস আর ওসমানী, সাবেক পরিচালক মঈনুল আহসান।