দ্বিতীয় স্থানে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে খেলতে চেয়েছিল খুলনা টাইটানস। যদিও তা নির্ভর করছিল ঢাকা ও রংপুরের বুধবারের ম্যাচের ওপর। ঢাকা হারলেই সেটি সম্ভব হতো।কিন্তু অনিশ্চয়তার ক্রিকেটে সাকিবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে রংপুরকে ৪৩ রানে হারিয়ে দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত করেছে ঢাকা ডায়নামাইটস। ফলে প্রথম কোয়ালিফায়ারে ঢাকার মুখোমুখি হবে কুমিল্লা। আর এলিমিনেটর রাউন্ডে খুলনা টাইটানসের মুখোমুখি হবে রংপুর রাইডার্স।

শুরুতে ঢাকার ইনিংসে ছিল আসা-যাওয়ার মিছিল। তবে রংপুরের অবস্থা ছিল আরও শোচনীয়। শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে যায় রংপুর। ৩৯ রানে হারায় ৫ উইকেট। শুরুর দিকে চার্লসই সর্বোচ্চ ২৮ রানে করেন। রবি বোপারা মিডল অর্ডারে ২৮ রানে অপরাজিত থাকলেও ইনিংসে এগিয়ে যেতে তা ছিল নগন্য! ৩০ বলে মাত্র একটি চার ও একটি ছয় ছিল তার ইনিংসে।ব্যাট হাতে ভূমিকার পর বল হাতেও ভূমিকা ছিল সাকিব আল হাসানের। রংপুর অধিনায়ক ম্যাককালামকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান সাকিব। ঢাকার পক্ষে সাকিব ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। সমান ৪ ওভার করে ২ উইকেটন নেন আবু হায়দার। একটি করে নেন মোসাদ্দেক হোসেন, সুনিল নারিন ও মোহাম্মদ আমির। ম্যাচসেরা হন ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

এর আগে টসে জিতে ব্যাট করা ঢাকাকে ৭ উইকেটে ১৩৭ রানে আটকে দিয়েছিল রংপুর রাইডার্স। আজকের ম্যাচে নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফিকে বিশ্রাম দেয় রংপুর। পরিবর্তন আনা হয়েছে ৭টি। উল্টো দিকে ঢাকা ঢাকা পরিবর্তন আনে চারটি। অথচ চারটি পরিবর্তন এনেও ব্যাটিং লাইন আপে রসদ যোগাতে ব্যর্থ হয়েছে ঢাকা। শুরু থেকে ছিল ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার মিছিল। ৪৮ রানে পতন ঘটে ৫টি উইকেটের। এরপর মেহেদী মারুফ ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ব্যাট ধরলে পুঁজিটা বড় হয় ঢাকার। মেহেদী মারুফ ২৩ বলে ৩৩ রানে বিদায় হলে লড়াই চালিয়ে যান ঢাকার অধিনায়ক সাকিব। ৩৩ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন সাকিব আল হাসান। সাকিবের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ২টি ছয়। আর মারুফের ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও একটি ছয়। মূলত শেষ দিকে সাকিব আল হাসানের ইনিংসেই ১৩৭ রান করতে পারে ঢাকা ডায়নামাইটস।রংপুরের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন রুবেল হোসেন ও এবাদত হোসেন। একটি করে উইকেট নেন স্যামুয়েল বদ্রি, নাহিদুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক।