কখনো প্রেসিডেন্ট, কখনো অাবার প্রধানন্ত্রী। বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর রাজনীতিবিদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পালাক্রমে এই শীর্ষ দুই পদ আলোকিত করেছেন গত দেড়যুগ। সেই ধারাবাহিকতায় চতুর্থবারের মতো আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার একটি গাড়ি নির্মাণ কারখানার শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে দেয়া এক বক্তৃতায় এই ঘোষণা দিয়ে পুতিন বলেন, আমি আবারও রাশিয়ান ফেডারেশন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবো। বিবিসি জানিয়েছে, ২০০০ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন পুতিন। আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় থাকবেন।

ক্রেমলিনকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করে এবং সিরিয়ায় সামরিক অভিযানে সহযোগিতা করে বিশ্বে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করেছেন বলে মনে করে দেশটির জনগণ। তাই আবারও তিনি নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে মনে করেন অনেকে। এছাড়াও তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যালেক্সিই নাভালনি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষিত হওয়ায় পুতিনের জয় সহজ হবে বলে মনে করছেন অনেকেই। তবে সমালোচনাকারীরা মনে করেন, অবৈধভাবে ক্রেমলিন দখল এবং দুর্নীতির কারণে পুতিন আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচিত হয়েছেন।

পুতিন: গুপ্তচর থেকে প্রেসিডেন্ট:
১৯৫২ সালের ৭ অক্টোবর লেনিনগ্রাদে জন্মগ্রহণ করেন পুতিন। সেটা বর্তমানে সেন্ট পিটার্সবার্গ হিসেবে পরিচিত। পড়াশোনা করেছেন আইন বিষয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষে যোগ দেন রাশিয়ার প্রধান গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবিতে। গুপ্তচর হিসেবে কাজ করেন সাম্যবাদী পশ্চিম জার্মানিতে। এসময় অনেক নেতা রাশিয়ার ক্ষমতায় আসতে পারেননি। ১৯৯০ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গের মেয়র অ্যানাতালি সবচাক’র প্রধান সহযোগী হন পুতিন। অ্যানাতোলি পুতিনকে আইনও পড়িয়েছেন।

১৯৯৭ সালে প্রেসিডেন্ট বোরিস ইয়েল্টসিন এর সময় ফেডারেল নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান হন। ১৯৯৯ সালে ইয়েল্টসিন ক্ষমতা ছাড়লে পুতিন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হন। পরে ২০০০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সহজেই জয়লাভ করেন। ২০০৪ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে জয়লাভ করেন। তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হতে না পারলেও হন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ২০১২ সালে আবার প্রেসিডেন্ট হয়ে এখনো ক্ষমতায় এই নেতা।