গাজীপুরে ঢাকা প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ভাঙচুরের ঘটনায় আট শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও জরিমানা করা হয়েছে।ডুয়েট’র ছাত্র কল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান জানান, ডুয়েট’র সেমিস্টার পরীক্ষা পিছানোর দাবিতে গত ৩১ অক্টোবর রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অফিস ও শিক্ষকদের আবাসিক এলাকায় ভাঙচুরের অভিযোগে আট শিক্ষার্থীকে একাডেমিক কার্যক্রম ও হল থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার এবং জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার ডুয়েট’র বোর্ড অফ ডিসিপ্লিনের সভায় ঐ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সাজাপ্রাপ্তরা হলো- সিএসই ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষ প্রথম পর্বের সুমন মিয়া, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের প্রথম পর্বের তুষার চন্দ্র বর্মন, ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ প্রথম পর্বের হুমায়ুন কবির রাজু, তাদের প্রত্যেককে দুই বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে ও হল থেকে আজীবন বহিষ্কার এবং তাদের প্রত্যেককে ৫হাজার টাকা করে জরিমানা এবং সিএসই বিভাগের তৃতীয় বর্ষ প্রথম পর্বের রুহুল আমিন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষ প্রথম পর্বের মোঃ সোলায়মান রাজন, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর তৃতীয় বর্ষ প্রথম পর্বের মোঃ রবিউল ইসলাম, ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষ প্রথম পর্বের মোঃ সাদ্দাম হোসেন ও মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষ প্রথম পর্বের আব্দুর রহমানদের প্রত্যেককে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার, হল থেকে আজীবন বহিষ্কার এবং প্রত্যেককে সাত হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে শাস্তির ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, তাদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। তাদের শাস্তি মওকুফ ঘটনা পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গাজীপুরে ঢাকা প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) সেমিস্টার পরীক্ষা পিছানোর দাবিতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গত ৩১ অক্টোবর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিস, আবাসিক এলাকা ও গাড়িসহ ব্যাপক ভাংচুর করে। ছাত্ররা এসময় সড়কও অবরোধ করেছে। বিক্ষুব্ধ ছাত্রদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে ও হামলায় অন্ততঃ ১০/১২জন শিক্ষক আহত হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দাবী করেছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনা তদন্তের জন্য ডুয়েট’র ডিন অধ্যাপক আবু নঈম শেখকে প্রধান করে সাত সদস্যের এক কমিটি গঠন করা হয়।