বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রাবাসের সামনে ছাত্রলীগের দুই শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে হয়েছে হত্যাকাণ্ড। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানান, নিহতরা হলেন শহরের পুরাতন হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র শাহবাব রহমান (২০) ও সদর উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের বিলাল হোসেনের ছেলে মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী মাহি আহমদ (১৮)। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হলে দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এদিকে পুলিশ জানায়, জেলা ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। সাবাব ও মাহি দু’জনই জেলা ছাত্রলীগের কর্মী। ঘটনার পর থেকে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এদিকে জোড়া খুনের ঘটনায় শহরজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ সন্ধ্যার সঙ্গে সঙ্গে ঘরমুখো হয়েছেন। শহরের দোকানপাট বন্ধ করেছেন রাত ৯টার আগেই। শহরে বিরাজ করছে অজানা এক আতঙ্ক। চারদিকে সুনসান নিরবতা বিরাজ করছে।

অন্যদিকে হত্যাকারীদের খুঁজে বের করতে পুলিশ বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। শহরের বিভিন্ন এলাকা তন্নতন্ন করে হত্যাকারীদের খুঁজছে পুলিশ- এমনটা জানালেন পুলিশ সুপার (এসপি)মোহাম্মদ শাহ জালাল।অন্যদিকে ওসি সোহেল আহমদ বলেন, “নিহতরা ছাত্রলীগের কর্মী। অভ্যন্তরীণ কোন্দলে তাদের হত্যা করা হয়েছে। কারা হত্যা করেছে তা জানা গেছে, তবে তদন্তের স্বার্থে এখন জানানো সম্ভব নয়।” স্থানীয়রাও নিহত দুইজনকে ছাত্রলীগের কর্মী বলে দাবি করছেন।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আছাদুজ্জান রনি বলেন, “নিহত দুইজন ছাত্রলীগের কোনো কমিটিতে নেই। তবে ছাত্রলীগ সমর্থক হলে হতে পারে, আমার জানা নেই।”