বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ব্যাপক প্রাণ চাঞ্চল্যের মধ্য দিয়ে আরব আমিরাতের শারজাহে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে জাতিসংঘের ইউনেস্কো কর্তৃক ‘ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসাবে স্বীকৃতি প্রদান উপলক্ষে আনন্দ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।গত ৯ ডিসেম্বর আরব আমিরাতের শারজাহ শহরে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এর আয়োজন করে বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল দুবাই ও উত্তর আমিরাত এবং বাংলাদেশ কমিউনিটি। স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। এরপর শুরু হয় আলোচনা সভা।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, ৪৬ বছর পরে হলেও বিশ্ববিবেক আমাদের ইতিহাসকে বিশ্ব ঐতিহ্য করে নিয়েছে। এ আনন্দ প্রতিটি বাঙালির। এ জন্য ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ। সেই সাথে ইউনেস্কোর কাছে এটি তুলে ধরতে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কাজ করেছেন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তারা। এ সময় তারা আরো বলেন, বিশ্বজয়ী গোটা কয়েক ভাষণ আছে। সবার ভাষণই লিখিত ছিলো কিন্তু একমাত্র রাজনীতির কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাষণ ছিলো অলিখিত কোন ভাষণ। এ ভাষণটা যখনই মানুষ শুনে মনে হয় যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার গান শুনানো হচ্ছে। তারা নিজ দেশের ঐতিহ্য বিদেশী বন্ধুদের কাছে তুলে ধরতে সবার স্ব স্ব স্থান থেকে কাজ করতে প্রবাসীদের অনুরোধ জানিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল দুবাই ও উত্তর আমিরাতের কনসাল জেনারেল এস বদিরুজ্জামান। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আরব আমিরাতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান। অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন লেবার কনসুলার এ এস এম জাকির হোসেন এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন কমার্শিয়াল কাউন্সিলর ড. এ কে এম রফিক আহমেদ।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কমিউনিটির পক্ষে বক্তব্য রাখেন প্রকৌশলী আবু জাফর চৌধুরী, ডা. সৈয়দ নূর মোহাম্মদ, আইয়ূব আলী বাবুল, নূর মোহাম্মদ, অধ্যাপক আব্দুস সবুর, ক্যাপ্টেন সৈয়দ আবু আহাদ, বাবু রাখাল কুমার গোপ, প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন, প্রকৌশলী এস এ মোর্শেদ, নারীনেত্রী কাওছার নাজ সহ নানা সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যক্তিরা। শিল্পনিপুণ এই অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মোহাম্মদ নাজমুল হক ও মুমতাজ আইয়ূব। অনুষ্ঠানের তৃতীয়পর্বে গান কবিতা আর নাচে মুখরিত ছিলো আনন্দঘণ সময়। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে গান পরিবেশন করেন ইয়াছমিন কালাম, রেহানা রহমান, মিতা সাহা, অনিন্দিতা খান সুমি, ড. এ কে এম রফিক আহমেদ, জাবেদ আহমদ মাসুম, জসিম উদ্দিন পলাশ, শ্যামল বিশ্বাস, কাইছার হামিদ ও বঙ্গ শিমুল। নাচ পরিবেশন করেন ফারাহ শামস্, হুমায়রা বিনতে জাহিদ, সুমায়রা বিনতে জাহিদ, পারিসা চৌধুরী। নির্মলেন্দু গুণের কবিতা পাঠ করেন আরটিভি প্রতিনিধি মাহাবুব হাসান হৃদয় এবং ৭ মার্চের ভাষণ নিযে স্বরচিত ছড়াপাঠ করেন একাত্তর টিভি প্রতিনিধি ছড়াকার লুৎফুর রহমান।