বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের ব্যাংক আরসিবিসি’র (রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশন) বিরুদ্ধে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেছেন, ‘রিজার্ভ চুরির ঘটনায় মামলার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলবো। রিজাল ব্যাংককে পৃথিবী থেকে বিদায় করতে চাই। শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানটি ছিল প্রাণিবিজ্ঞান সমিতি আয়োজিত সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভার উদ্বোধনী। এখানে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘টাকা উদ্ধারের ব্যাপারে এর আগে ফিলিপাইন সরকারের সঙ্গে একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা এখন গড়িমসি করছে। এ কারণে মামলার কথা ভাবছি। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’
এদিকে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানায়, রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের ব্যাংক আরসিবিসি’র বিরুদ্ধে যৌথভাবে মামলা দায়েরের জন্য আলোচনা করছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক।নভেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ও নিউ ইয়র্ক ফেডের কর্মকর্তারা কনফারেন্স কলের মাধ্যমে আরসিবিসি’র বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন। এ সময় সিদ্ধান্ত হয়, বাংলাদেশ ব্যাংক মামলার বিষয়ে একটি প্রস্তাব পাঠাবে নিউ ইয়র্ক ফেডের কাছে। একটি সূত্র জানায়, ২০১৮ সালের মার্চ-এপ্রিলের দিকে নিউ ইয়র্কে মামলা দায়েরের লক্ষ্য রয়েছে।২০১৬ সালের ফেব্র“য়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিউ ইয়র্ক ফেড অ্যাকাউন্ট থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে হ্যাকাররা। সুইফট সিস্টেমের মাধ্যমে ভুয়া আদেশে এই অর্থ চুরি করে তা পাঠানো হয় ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোশেনে। সেখান থেকে এই অর্থ চলে যায় দেশটির ক্যাসিনোগুলোতে।রিজার্ভ চুরির প্রায় দুই বছর হতে চললেও এই হ্যাকিংয়ের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করতে পারেনি বাংলাদেশ। আর উদ্ধার করা হয়েছে মাত্র দেড় কোটি ডলার।