অতীতে জাতীয় দলের অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল সাকিব আল হাসানকে। সেটি ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসের কথা। ৬ বছর পর টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব ফিরে পেয়ে জানালেন তিনি অতীত ভুলে গেছেন।সংবাদমাধ্যমের অপেক্ষাটা আজ যতটা না ছিল ঢাকা ডায়নামাইটসের জন্য, তার চেয়েও বেশি ছিল সাকিব আল হাসানের জন্য। সংবাদমাধ্যম তাঁর অপেক্ষায়, সেটি সাকিব নিজেও বুঝেছেন। সোমবার বিকেল তিনটায় বিসিবি একাডেমি মাঠে অনুশীলন শুরুর আগেই সংবাদমাধ্যমের সামনে এলেন বাংলাদেশ টেস্ট দলের নতুন অধিনায়ক।
গত এপ্রিলে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। কয়েক মাসের ব্যবধানে ক্রিকেটের অভিজাত সংস্করণে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বের ভার উঠল তাঁর কাঁধে। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে তিন সংস্করণেই অধিনায়কত্ব হারানো সাকিব ধীরে ধীরে ফিরে পাচ্ছেন পুরোনো দায়িত্ব। সাকিবকে পুরোনো কথা মনে করিয়ে দেওয়া হলো উল্টো প্রশ্ন করলেন, আমার মনে নেই, কী হয়েছিল! প্রশ্নকর্তা মনে করিয়ে দিলেন, অসন্তুষ্ট হয়ে অধিনায়কত্ব থেকে সাকিবকে সরিয়ে দিয়েছিল বোর্ড। ‘ঠিক আছে, জীবনে কত কিছুই হয়’Ñসাকিব অতীত নিয়ে পড়ে থাকতে চান না। তাঁর দৃষ্টি সামনে।কিন্তু সাকিবের নেতৃত্বে টেস্টে বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। এ বছরের মতো আগামী বছর বেশির ভাগ সিরিজই খেলতে হবে দেশের বাইরে। সাকিব অবশ্য চ্যালেঞ্জটা নিচ্ছেন, প্রতিটি টুর্নামেন্ট বা সিরিজই কঠিন। সেটি দেশে হোক বা বাইরে। হয়তো দেশে খেললে একটু স্বস্তি বোধ করি আমরা। বিদেশে যেহেতু সাফল্য নেই, তাই ব্যাপারটা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যায়। একই সঙ্গে এটাও ভালো কিছু করার সুযোগ। কেউ না কেউ শুরু করবে। যদি শুরু হয়, তাহলে খারাপ কী! যদিও কাজটা কঠিন। কিন্তু আমাদের যে দলটা আছে, আমরা যেভাবে খেলছি, অনেক কিছুই সম্ভব।২০১১ সালের চেয়ে ২০১৭ সালের বাংলাদেশ দলের দৃশ্যমান পার্থক্য আছে। ছয় বছর আগে সাকিবকে কেন্দ্র করেই দল এগিয়েছে। কিন্তু এখন দলে অনেক পারফরমার। এটি অধিনায়ক সাকিবের বিরাট স্বস্তি, ‘এখন দলের বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই ভালো করছে। খেলোয়াড়েরা যখন ভালো করবে, অধিনায়কের তেমন কাজই থাকবে না। আশা করি সবাই ভালো করবে। সবাই মিলে ভালো করলেই দল ভালো করবে।কদিন আগেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকে বিশ্রাম নিয়ে বেশ আলোড়ন তৈরি করেছিলেন। সেই সাকিব এখন টেস্ট অধিনায়ক। অধিনায়ক হিসেবে সামনেও কি বিশ্রাম নেবেন? সাকিব অবশ্য ‘দেখা যাক কী হয়’ বলে এড়িয়ে গেলেন বিষয়টা। এড়িয়ে গেলেন নাজমুল হাসানকে বলা বাংলাদেশ দলের বিদায়ী কোচ চন্ডিকা হাথুুেসিংহের মন্তব্যগুলোও। বছরে দুটির বেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলায় নিষেধাজ্ঞা নিয়েও তাঁর প্রতিক্রিয়া নেই।তবে অধিনায়কত্ব নিয়ে বলতে সাকিবের আপত্তি নেই। অধিনায়কত্ব হারিয়ে কখনো কি ভেবেছেন আবারও ফিরে পাবেন? বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের দার্শনিক জবাব, আমি কোনো কিছু প্রত্যাশা করি না। কিছু ছেড়েও দিই না। হলে ভালো, না হলেও সমস্যা নেই।