জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আজ বুধবার দুপুরে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, হেফাজতের নেতাকর্মীরা মার্কিন দূতাবাস ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল নিয়ে রওনা দেয়। পল্টন, বিজয়নগর, কাকরাইল হয়ে মিছিলটি শান্তিনগরে এসে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে।

এরপর পুলিশের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা নূর হোছাইন কাসেমীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য মার্কিন দূতাবাসের উদ্দেশে রওনা দেয়। প্রতিনিধিদলে আরো ছিলেন মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা আহমদ আবদুল কাদের, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামী আন্দোলন এর আগেও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। আগের সব কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। গত ৭ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সারা বিশ্বের মুসলিম জনগোষ্ঠী ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও ইসলামী দলগুলো বিক্ষোভ দেখিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে।

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণার সিদ্ধান্তটি বেশ পুরোনো। ১৯৯৫ সালেই মার্কিন কংগ্রেস অনুমোদিত এক আইনে ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সাবেক সব প্রেসিডেন্টই ক্ষমতায় থাকাকালীন ওই প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার সিদ্ধান্ত নেন।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর একই পথে হেঁটেছিলেন ট্রাম্পও। তবে এবার বেঁকে বসেন তিনি। গত বুধবার জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন। ১৯৬৭ সালে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরায়েল। পরে ১৯৮০ সালে তারা পূর্ব জেরুজালেমকে অধিগ্রহণ করে নেয় এবং ইসরায়েলের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে। তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী ওই অঞ্চলকে দখলকৃত হিসেবেই বিবেচনা করা হয়।